রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোটার: জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া সন্ধ্যা নদীর বাগধা নামকস্থানে একটি ব্রীজের অভাবে প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ প্রায় সহ¯্রাধিক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকার মাধ্যমে নদী পারাপার হচ্ছেন। এ কারণে অধিকাংশ সময় বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু, বয়স্কসহ ছাত্র-ছাত্রীদের। খেয়া নৌকায় নদী পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা।
সূত্রমতে, পার্শ্ববর্তী উজিরপুর ও বানরীপাড়া উপজেলা হয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট, বাগধা ও আমবৌলা গ্রামের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া সন্ধ্যা নদীর উপর বরিশাল-গোপালগঞ্জ-খুলনা মহাসড়কে উপজেলার পয়সারহাট নামকস্থানে নদী পারাপারের জন্য একমাত্র ব্রীজ থাকলেও সহজ যোগাযোগের জন্য উপজেলার বাগধা ও আমবৌলা গ্রামসহ পাশ্ববর্তী গ্রামের হাজার-হাজার বাসিন্দারা খেয়া নৌকার মাধ্যমেই নদীর এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করছেন।
এছাড়াও নদীর পশ্চিম পাড়ে একাধিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ স্থানীয় হাট-বাজার থাকায় নদীর পূর্ব পাড়ের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হচ্ছে খেয়া নৌকা। খেয়া নৌকায় নদী পার হতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগলেও পয়সারহাটে অবস্থিত ব্রীজ ঘুরে যাতায়াতে তাদের সময় লাগে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট। এ কারনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকার মাধ্যমেই নদী পারাপার হতে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সহ¯্রাধীক গ্রামবাসীকে। যে কারণে জরুরী ভিত্তিতে এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী তুলেছেন ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর একপ্রান্ত থেকে ২৫জন যাত্রী নিয়ে অপরপ্রান্তের উদ্দেশ্যে ছুটে চলছে খেয়া নৌকা। এরমধ্যে শিশুসহ ১০জন ছাত্রী রয়েছে। এভাবেই প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন সহ¯্রাধীক মানুষ। বাগধা স্কুল এ- কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী মিলি খানম জানায়, এখানে খেয়ার মাধ্যমে নদী পারাপার হতে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যা হয়।
তাই আমাদের এখানে নদী পারাপারের জন্য একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। কলেজছাত্রী মিলির কথার সাথে একমত পোষন করে একাধিক এলাকাবাসী বলেন, ব্রীজের অভাবে এ অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
নদীর একপাড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা এবং অপর পাড়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউপি কার্যালয় অবস্থিত। তাই প্রতিনিয়ত পূর্ব পাড়ের কমপক্ষে এক হাজার শিক্ষার্থীকে খেয়া নৌকায় নদী পার হয়ে পশ্চিম পাড়ে আসতে হয়।
অন্যদিকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউপি কার্যালয় নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দাদের প্রতিনিয়ত খেয়া নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়ে পূর্ব পাড়ে আসতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রাজ কুমার গাইন বলেন, বাগধা খেয়া ঘাটে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট এলজিইডি অফিসে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে বরিশাল এলজিইডি অফিস থেকে মাটি পরীক্ষাসহ সব ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
Leave a Reply