মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল সদর (৫) আসনের সাংসদ পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীমের সমর্থক ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ খবর পাওয়া গেছে। এতে উভয়পক্ষের অনন্ত ৫ নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন।শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটার সময় নগরীর কাশিপুর বিদুৎ অফিস সংগ্লন ঘটনাটি ঘটে। আহতদের নাম,কাশিপুর এলাকার মেহেদী হাসান অনিক,হাতেম আলী কলেজ চৈামাথা এলাকার রাসেল , ও ২১ নং ওয়ার্ড এলাকার গোরোস্থান রোডের পন্ডিত রাজিব, মিরাজ, নিয়নসহ একাধীক নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়- পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম শনিবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল বিমানবন্দরে যান। এসময় তার সাথে মোটরসাইকেল যোগে ৩শতাধিকের বেশি নেতাকর্মী তাকে বিদায় দিতে যান। প্রতিমন্ত্রীকে বিদায় দিয়ে ফেরার পথে
কাশিপুর বিদুৎ অফিস এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা নুর আহাদ সাঈদী এবং শাহারিয়ার সাচিব রাজিবের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে দুটি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় উভয়গ্রুপের অন্তত ৫ নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব উল ইসলাম জানান, সংঘাতে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এর আগেই সকলে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।এর আগে এমন রক্তপাত হওয়ার ধারণা করেছিলেন নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরআগে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বরিশাল সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মধু অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে দেখতে তার বাসায় যান প্রতিমন্ত্রী ও তার সমর্থকরা। তাকে দেখে ফেরার সময় মন্ত্রীর বহরে মোটরসাইকেলে থাকা সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । তখন প্রতিমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেয়।
ওই ঘটানার সূত্র ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেষ্ট হাউজের সামনে ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হলে দায়ীত্বশীল নেতারা বিষয়টির সমাধান করেন।এ বিষয় শাহারিয়ার সাচিব রাজিব অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা নুর আহাদ সাঈদী পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছেন। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা নুর আহাদ সাঈদীর কাছে জানতে চাইলে,তিনি বলেন,ঘটনার সময় আমি ছিলাম না।
শুধু শুধু আমাকে জড়ানো হচ্ছে।গোপন সুত্রে যানা যায়, রাজিব অনুসারী মিরাজ, নিয়ন বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রীর ছবি সেটে নিজেদের জানান দেয়।মিরাজ অমৃত লাল কলেজের এক ছাত্রকে কুপিয়ে বেশ কিছু দিন কারাভোগ করে।
অন্য এক সুত্র বলছে,শুক্রবারের ঘটনার মুল নায়ক রাজিব অনুসারী মিরাজ,পরের দিন শনিবার মিরাজ দেশীও অস্ত্র নিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে বিদায় দিয়ে ফেরার পথে কাশিপুর বিদুৎ অফিস সংগ্লন পৈছালে মেহেদীকে কুপিয়ে জখম করে এসময় মেহেদীর ডান পাসহ শরিররে বিভিন্ন স্থানে ক্ষত-বিক্ষত হয়।বর্তমানে মেহেদী শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।মিরাজ কাশিপুর ইছাকাঠী প্রধান সড়কের মোতালেব মিয়ার ভারাটিয়া।
Leave a Reply