সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
এইচ.এম. রাতুল॥ দিন দিন গুরুত্ব বাড়ছে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে মরকখোলা পোল পর্যন্ত অধ্যক্ষ ইউনুস খান (খালপাড় সংযোগ) সড়কটির। কিন্তু বর্তমানে সড়কটির বেহাল দশা। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণের সময়কালীন সড়কটি পাকাকরণ করা হলেও এরপর আর সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়া এবং ভারি যানবাহন চলাচল করায় সড়কটি ভেঙে অসংখ্য বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে যানবাহন পড়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা আর বাড়ছে জনদুর্ভোগ। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই দুর্ভোগ কখন শেষ হবে তা নিয়ে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না।
বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান জননন্দিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নির্দেশনায় এ সড়কটি সংস্কারে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে দীর্ঘ কয়েক মাস পূর্বে সড়ক লাগোয়া খালের পাইলিং করে কার্পেটিং তুলে ইটের খোয়া বেছানো হয়। বেশ ওই পর্যন্তই। এরপর গত বর্ষা মৌসুমে বন্যার সময় সড়কটি খালের জোয়ারের পানিতে অর্ধেকাংশ ডুবে যায়। এতে সেই পাইলিং ভেঙে খালে পড়ে আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোন কোন স্থানে সড়ক আর খাল মিলেমিশে একাকার। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি সংযোগ সড়ক। কেননা সংযোগ সড়কে বিশাল একেকটি গর্ত। কার্পেটিং নেই, তাছাড়া সড়কে একপাশে একাধিক স্থানে ইটের খোয়া এমনভাবে রাখা হয়েছে যাতে যানবাহন চলাচল করতে হলে গর্তের পাশ দিয়েই চলতে হয়। এছাড়া গত বর্ষায় সেই ইটের খোয়াও পানিতে ধূয়ে খালের পানিতে মিশে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, সড়কের চিহ্ন যেন প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। সিটি কর্পোরেশনের এ সংযোগ সড়কে একেকটি গর্ত পাড়ি দিতে বেশ কিছু সময়ও লাগছে বিভিন্ন যানবাহনের। সড়কটির নথুল্লাবাদ থেকে কাউনিয়া মরকখোলা পোল পর্যন্ত পুরোটাই চলাচলের অনুপযোগী। সেখানে সড়ক সংস্কারেরও কাজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। বিশাল আকারের গর্তে প্রতিনিয়ত কোন না কোন যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে। ফলে বর্তমানে এ সড়কটি কেউ ব্যবহার করছে না বলেই চলে। অবশ্য বিএম কলেজ এলাকায় মাঝে মধ্যে বিভিন্ন আন্দোলন নিয়ে ছাত্ররা রাজপথে নামলে এই সড়কটিই নগরীতে প্রবেশের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় বিভিন্ন যানবাহন অনেকটা বাধ্য হয়েই এ সড়কে প্রবেশ করে। আর তখনি কোন না কোন দুর্ঘটনায় পড়ে যানবাহনগুলো।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামাল এর আমলে এ সড়কের কোথাও বিন্দুমাত্র সংস্কার করা হয়নি। আর একারণেই বর্তমানে সড়কটির বেহাল দশা। এদিকে জেলখালের পাড়ে এ সড়কটি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমের সড়কের বেশিরভাগ জায়গায় ভেঙে পড়েছে। শক্ত কোন পাইলিং না থাকায় ভাড়ি যানবাহন চলাচল করায় এমনটি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বরিশালের সাবেক জেলা প্রশাসক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামানের সময়ে জেলখালের উভয় পার্শ্বে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করায় স্থানীয়রা একটি পরিচ্ছন্ন খাল ও সড়ক পাবে বলে আশা করেছিলেন স্থানীয়রা। তবে দীর্ঘদিনেও খালের সংস্কার না হওয়ায় এ সড়কটি নিয়েও উদ্বীগ্ন স্থানীয়রা।
Leave a Reply