বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে ছাত্রদল এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পৃথকভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। রবিবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদর রোডে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এক সমাবেশের আয়োজন করে। একই সময়ে পাশের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রদল। এদিকে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ক্যাম্পাসে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন গাজী রেদওয়ান, হুজাইফা রহমান, নাইম ইসলাম, আবদুল জলিলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি করেন, নূর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ বিভিন্ন অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। বক্তারা বলেন, গণহত্যাকারী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালানোর অধিকার নেই যতক্ষণ না গণহত্যার বিচার হয়।
অন্যদিকে, ছাত্রদলও তাদের অবস্থান জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু, সহ-সভাপতি তৌফিক আল ইমরান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। তারা দাবি করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রসমাজ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির তদারকি করবে এবং জাতির পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে।
দিনব্যাপী এই বিক্ষোভ সমাবেশে দুই দলের মধ্যে কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা উত্তেজনা সৃৃষ্টি হয়নি। তবে পুলিশ নিরাপত্তার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিবাদ জানাতে এই সমাবেশে অংশ নেয়।
এদিকে সকাল ১০টার দিকে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ থেকে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে আটক করেছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এরপর তাদেরকে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করে তারা। আটককৃতরা হলেন বিএম কলেজের দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মো. রাশেদ খান (২৮) ও একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সৌমিক বিন আলী (২৭)।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা জানান, ছাত্রলীগের এই দুই কর্মী বেশ কয়েকজন লোক নিয়ে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে নাশকতা করার চেষ্টা করছিল। এ আশঙ্কায় তাদেরকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে আটক হওয়া দুই যুবকের দাবি, তাদেরকে অহেতুক ধরে নিয়ে আসছে।
বরিশাল কোতয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply