শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ দশম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদরাসার ওই ছাত্রীকে ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি। ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার দেশান্তরকাঠি গ্রামের রফিক সরদারের ছেলে মো. ফাহাদ (২১), ফাহাদের বাবা রফিক সরদার, বোন রাহিমা ও মা রুনু বেগম। বাদীর স্বামী বিদেশে মালয়েশিয়ায় থাকেন। বাদীর মেয়ে স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসায় দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। ফাহাদ বাদীর মেয়েকে বিভিন্ন সময় মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে একা পেয়ে বিভিন্ন ধরনের অঙ্গভঙ্গি করে কুপ্রস্তাব দেয়। বাদীর মেয়ে ভিকটিম তার মাকে বলে দেয়। এতে ফাহাদ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠে।
২৯ জানুয়ারি বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয় ডিসির হাট বাজার থেকে রওনা হয়ে বাড়ি ফেরার পথে বড়পারা নামক স্থানে পৌঁছামাত্র ফাহাদসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা বাদীর মেয়েকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা মামলার বাদী বলেন, আসামির ও আমার একই গ্রামে বাড়ি। আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার মেয়েকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। আমার মেয়েকে না পেয়ে ফাহাদের বাবা রফিক, মা রুনু ও বোন রাহিমার কাছে বলেছি। তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। আমার মেয়েকে ৫ দিন পর্যন্ত ফাহাদ কোথাও আটক করে ধর্ষণ করছে। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও আমরা জানি না। ৩১ জানুয়ারি বেতাগী থানায় মামলা করতে গেলে থানা আমার মামলা নেয়নি। অভিযুক্ত ফাহাদ পলাতক থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, বেতাগী থানায় এ ব্যাপারে কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হতো।
Leave a Reply