বরগুনায় তিন বছর ধরে তালাবদ্ধ এক্স-রে কক্ষ,চরম ভোগান্তি রোগীদের Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




বরগুনায় তিন বছর ধরে তালাবদ্ধ এক্স-রে কক্ষ,চরম ভোগান্তি রোগীদের

বরগুনায় তিন বছর ধরে তালাবদ্ধ এক্স-রে কক্ষ,চরম ভোগান্তি রোগীদের




স্টাফ রিপোর্টার : বেতাগীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে এক্স-রে কক্ষ। দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় রোগীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, লোকবলের অভাবে তিন বছর ধরে এক্স-রে মেশিন বন্ধ রাখা হয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্স-রে মেশিনের কক্ষটি বন্ধ রয়েছে। কক্ষের সামনে মরিচা ধরা তালা ঝুলছে। দরজাজুড়ে রয়েছে মাকড়শার জাল বোনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রেডিওগ্রাফার জানান, এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় কারিগরি সমস্যা হতে পারে।

এদিকে, লোকবলের অভাবে এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ থাকায় যন্ত্রপাতিতে নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তবে কী অবস্থায় রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারছে না।

সূত্র জানায়, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালটি ২১টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও এখানে মাত্র ৫জন চিকিৎসক রয়েছে। তবে হাসপাতালটিতে নার্স স্বল্পতা নেই। বর্তমানে ওই হাসপাতালে ২০ জন নার্স রয়েছে। এছাড়াও ফার্মাসিস্ট, কম্পাউন্ডার, পরিসংখ্যানবিদ, মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট পদ শূন্যের পাশাপাশি এক্স- রে মেশিন পরিচালনার জন্য রেডিওগ্রাফার নেই দীর্ঘ তিন বছর ধরে।কোয়ার্টার নেই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনম মঈনুল ইসলামের আবাসন ব্যবস্থাও নেই। তার জন্য বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে আছে। এজন্য তার পরিবারকেও এখানে আনতে পারছেন না। বর্তমানে তিনি মেডিকেল অফিসারদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন!

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কর্মরত রেডিওগ্রাফার আবুল হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ মে হঠাৎ করে বেতাগী থেকে বদলি করে নেয়া হয় জেলা সদর বরগুনায়। সেই থেকে এ হাসপাতালের এ পদটি শূন্য রয়েছে। এর ফলে ১টি পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নের দেড়লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ উপজেলার দারিদ্র্য জনগোষ্ঠিকে হাসপাতালের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে এক্স-রে করতে হচ্ছে।

মো. সালাউদ্দিন বাপ্পি নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, এই কারণে তাদের সময় ও অর্থ উভয়ই বেশি অপচয় হচ্ছে। পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনম মঈনুল ইসলাম জানান, রেডিওগ্রাফারের অভাবে এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ থাকায় তিনি যোগদানের পরপরই ওই শূন্যপদ পূরণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD