শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বিয়ের দাবিতে ভৈরব বাবার বাড়ি থেকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের নাটেহরা গ্রামে এসে অনশনকারী অন্তঃসত্ত্বা তরুণী ভৈরবে ফিরে গেছেন। প্রায় দেড় দিন অনশন শেষে প্রেমিকের সাক্ষাৎ না পেয়ে রবিবার সকালে ফিরে গেছেন তিনি। জানা গেছে, প্রেমিক হিন্দু ধর্মের বিশ্বাসী। আর তরুণী ও তার পরিবার বেশ কয়েক বছর আগে ভৈরবে গিয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। তারা দু’জন চাচাত ভাই-বোন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জের নাটেহারা গ্রামের মাঝি বাড়ির লালু মাঝি ও নজরুল মিয়া আপন ভাই। নজরুল মিয়া দীর্ঘদিন আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হাজীগঞ্জ থেকে ভৈরবে চলে যান। বর্তমানে তারা ভৈরবেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। চাচাত ভাই রাজন (প্রেমিক) ভৈরবে চাকরি করাকালে তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়ে ওঠে।
শনিবার সকাল থেকে মেয়েটি অনশন শুরু করেন। তরুণী জানান, তার বাবা নজরুল মিয়া মুঠোফোনে এক প্রবাসীর সঙ্গে তার বিয়ে দেন। কিন্তু তার চাচা লালুর ছেলে রাজন (২৫) প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিও ধারণ করেন। শুধু তাই নয়, তার প্রবাসী স্বামীকে সেই ছবিটি পাঠিয়েও দেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওই প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
তরুণীর বড়বোন তাসলিমা বেগমের স্বামী মাছুম জানান, ভুক্তভোগীকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সর্বনাশ করেছে রাজন। আমরা তার সুষ্ঠু সমাধান পেতে হাজীগঞ্জে এসেছি। এ দিকে আমরা এ বাড়িতে এসেছি- এমন খবরে রাজন নিজে আত্মগোপনে চলে যান।’
রাজনের মা শিখা রানী বলেন, ‘দুই মাস আগে আমরা ঘটনা জানতে পেরেছি। এখন ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেব।’
ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী মুঠোফোনে বলেন, ‘শুনেছি মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। তাই এ তরুণীর সন্তান প্রসব করার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে নেওয়া হবে বলে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে। এ সমাধান মেনে নিয়ে মেয়েটি সকালে চলে যায়।’
হাজীগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশীদ বলেন, ‘এক তরুণী নাটেহরাতে এসে অনশন করছে- এ কথা শুনেছি। তবে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা কি না বলতে পারবো না। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আমরা আইনগত সহায়তা করবো।’
Leave a Reply