সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ ভোর রাতে বিয়ে, তাই আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই চুপচাপ চলছিল আয়োজন। এমন কৌশলও ভেস্তে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সে দিন মধ্যরাতেই কনের বাড়ি পৌঁছে ভেঙে দেন বাল্যবিয়ে।
ঘটনাটি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ভোর ৪ টায় দিনক্ষণ নির্ধারণ করে ১৩ বছরের এক কিশোরীর সাথে একই উপজেলার এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়। পরে ইউএনও খালেদা খাতুনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয় বিয়ে।
এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী স্থানীয় এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার সাথে একই উপজেলার বাশুরী গ্রামের রতন হালদারের বিয়ে ঠিক হয়। বুধবার (১৪ জুলাই) রাতে বরপক্ষ কনের বাড়ি পৌঁছার কথা ছিল।
অপরদিকে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ওই দিন রাত ১০টার দিকে নদী পার হয়ে কনের বাড়ি পৌঁছান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ইউএনও আসার খবর পেয়ে কনের বাবা পালিয়ে যান। এ সময় মেয়েটির মাকে বুঝিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। পরে বরপক্ষকে ফোন করে বিয়ে বন্ধের কথা জানিয়ে কনের বাড়ি আসতে নিষেধ করেন ইউএনও।
কিশোরীটির মা বলেন, বাল্যবিয়ের কুফল তিনি বুঝতে পারেননি। ইউএনও বুঝিয়ে বলার পর বিয়ে বন্ধ করে দেন তিনি। ‘আমার মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেব না।’
ইউএনও খালেদা খাতুন বলেন, ‘চিন্তিত ছিলাম, আমি পৌঁছানোর আগেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায় কি না।’ কিশোরীকে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে পেরে নিজের ভালো লাগার কথাও জানান ইউএনও।
Leave a Reply