পাথরঘাটায় রমজানে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




পাথরঘাটায় রমজানে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

পাথরঘাটায় রমজানে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম




বাবু সুমন চন্দ্রশীল :  বরগুনার পাথরঘাটায় পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে না হতেই উপজেলার সবকটি হাট-বাজারে কাঁচামালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিশেষ করে যেসব পণ্য ইফতার ও সেহরির সময় লাগে, সেসব দ্রব্যের দাম বেড়েছে মাত্রাহীনভাবে। সকল পণ্যের দাম বেড়ে ক্রেতা সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর।

চাল, ডাল, ছোলা, রসুন, পেঁয়াজ, আলু থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যই বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে। কোনো কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে তার চেয়েও বেশি। দু-তিন দিনের মাথায় বাজারের এই লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

রমজানের তৃতীয় দিনে পাথরঘাটা পৌরশহরের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, আলু ১৮ টাকা, পেঁয়াজ ২৮ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি ও কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। পাথরঘাটায় চালের দাম গত দু-তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে অন্তত দুই টাকা হারে বেড়েছে।

পাথরঘাটার বাজারে, চিনি, ডাল, ছোলা ও চিড়ার দাম না বাড়লেও বেড়েছে মাছ মাংসের দাম। রুই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, কাতল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, শিং মাছ ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, শোল মাছ ৫০০ টাকা কেজি, এক কেজি সাইজের ইলিশ এক হাজার ৩০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৯০০ টাকা ও ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি। অন্যদিকে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা হারে।

গতকাল গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে। বয়লার মুরগি ১৭০, সোনালি মুরগি ২৭০, দেশি ৪০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।পৌর শহরের আল্লাহর দান স্টোরের মালিক মো. ইউনুস জানান, রোজার আগের দিন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল দোকানে। ধর্মপ্রান মুসলমানরা অন্তত এক সপ্তাহের রোজার বাজার করে নিয়ে গেছেন। তবে খেটে খাওয়া ও সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে অসহায়বোধ করছেন।

সাংবাদিক খলিলুর রহমান শাহীন বলেন, প্রতি বছর রমজান আসলেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। এতে করে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পোহাতে হয় আমাদের মত মধ্যবিত্তদের।
সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ বাজারে মনিটারিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলেছে।

তাছাড়া বাজারে মূল্য তালিকার চার্ট না থাকার ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। সচেতনমহল এ বিষয়ে প্রশাসনের মনিটরিং-এর পাশাপাশি আশু কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে।তবে ভিন্ন কথা জানালেন মো. দুলাল নামে একজন কৃষক। এসব পণ্যের দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় খুশি তিনি। কারণ উৎপাদিত পণ্যের ভাল দাম পাচ্ছেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD