রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
পাথরঘাটা প্রতিনিধি॥ দেখেই গ্রামের কথা মনে পড়ে যায়। স্মৃতির ক্যানভাসে ভেসে উঠে সবুজ-শ্যামল, শান্ত, ছায়াঘেরা, মনোরম পরিবেশ। খাল, বিল, আর পুকুরে পদ্মফুল। গাছে গাছে পাখিদের কোলাহল।
বন্দে আলী মিয়া কবিতায় যেমনটা বলছিলেন ‘আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের সমান, আলো দিয়ে, বায়ু দিয়ে বাচাইছে প্রাণ। স্কুল, মসজিদ, দুর্যোগ কালীন আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন শেল্টার, মুজিব কেল্লা, বসতবাড়ি, পাশে পুকুর, ফুল-ফলসহ বিভিন্ন গাছপালায় নিবিড় ছায়াঘেরা একটি গ্রাম। এ যেন উন্নয়ন মেলার মাঠে এক টুকরো গ্রাম, দেখলেই জুড়ায় প্রাণ!
চারদিকে মাইকের আওয়াজ, বড় বড় কয়েকটি গেট। মাঠে ঢুকতেই দুপাশে ঝাড় বাতি। রাতের চিত্র ভিন্ন। বিভিন্ন রঙের আলোকসজ্জা। গেট থেকে ঢুকতেই এক সুন্দর গ্রাম। পাল্টে যাওয়ার মতো এক দৃশ্য। এ যেন এক টুকরো গ্রাম। মেলার মাঠে এক টুকরো গ্রাম দেখেই আগতদের মন কারছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশে উন্নীত হওয়া এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়ন মেলা শুরু হয়। ২৭ মার্চ পাথরঘাটা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মেলা শুরু হয়ে ২৮ মার্চ রাতে শেষ হয়। মেলায় পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দপ্তর এবং বেসরকারি সংস্থা প্রায় ৩৪টি স্টল এর মাধ্যমে তাদের কর্মকান্ড প্রদর্শন করেন। এ স্টলে চিত্র ধরে রাখতে সেলফি তোলায় ভিড় পড়ে রায়।
এরমধ্যে গ্রামের চিত্র এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছেন পাথরঘাটা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দফতর।
এ স্টলে উঠে আসে, উপকূলবর্তী এলাকায় দুর্যোগের সময় আশ্রয় নেয়ার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র, মুজিব কেল্লা, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বাসগৃহ, সেতু ও কালভার্ট, এইচবিবি সড়ক, টিআর কাবিখা প্রকল্পের আওতায় সৌর সোলার, সোলার স্ট্রিট লাইট, পুকুর, মসজিদ-মন্দির, তাল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দিয়ে একটি গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই স্টলে। এছাড়া এ প্রদর্শনীর মধ্যে নিজ হাতে বাংলাদেশের মানচিত্র এঁকে প্রদর্শন করা হয়।
মেলায় আগত জাহিদ তালুকদার, মাহবুবুর রহমান, খলিল কাজী বলেন, আমরা সবকটি স্টল ঘুরে দেখেছি, তার মধ্যে এটি ব্যতিক্রম। একটি গ্রামের যা থাকে তাই তুলে ধরা হয়েছে। আমরা হতবাক হয়ে গেলাম এভাবে একটি চিত্র তুলে ধরা সম্ভব।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একটি ছোট গ্রামে যে চিত্র থাকে এ চিত্র প্রদর্শন করার চেষ্টা করেছি। গত এক সপ্তাহ ধরে এটি নিয়ে কাজ করেছি আমরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের বেশির ভাগ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে এই দফতর। সে হিসেবে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ উন্নয়ন মেলায় আমরা উপকূলবর্তী এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বসতঘর, মুজিব কেল্লাসহ একটি গ্রামের উন্নয়নে সরকারের অবদান তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাবরিনা সুলতানা বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড মেলার মাধ্যমে জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়া।
Leave a Reply