বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খানের বিরুদ্ধে শিক্ষক মিজানুর রহমান তসলিমকে দুইঘ ঘন্টা আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে।
তসলিম রাঙ্গাবালী নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক এবং একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গত সোমবার (১৭ আগস্ট) রাতে উপজেলার বাহেরচর বাজারে চেয়ারম্যানের বাসভবন সংলগ্ন নিজস্ব অফিসে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তসলিম। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সকালে আহতবস্থায় তাকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনা সম্পর্কে জানা নাই বলে জানান, রাঙ্গাবালী থানার ওসি।
তসলিমের অভিযোগ তিনি সোমবার রাতে বাহেরচর বাজারের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ছোঁয়া মেডিকেল হলের সামনে ছিলেন। হঠাৎ সাধারণ সম্পাদক মামুন খানের সমর্থক ২৫-৩০ জন লোক এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট শুরু করে। একপর্যায় জোরপূর্বক টেনে-হেঁচড়ে তাকে মটরসাইকেলে তুলে মামুন খানের বাসভবন সংলগ্ন তার ব্যক্তিগত অফিস নিয়ে যায়। পরে সেখানে আটকে মামুন ও তার লোকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে। তিনি রাঙ্গাবালী ইউনিয়নে নির্বাচন করতে চান। ইতোমধ্যে পোস্টার ব্যানার করেছেন। এ কারণে তার ওপর মামুন খান ক্ষিপ্ত। তাই বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকিও দিয়ে আসছেন।
তসলিমের ভাষ্যমতে, রাত ৮ থেকে ১০ টা পর্যন্ত তাকে মামুনের টর্চারসেলে (ব্যক্তিগত অফিস) আটকে তিন দফায় মারধর করা হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে কিল-ঘুষি ও লাথি দিয়ে জখম করা হয়। লোকজনের সঙ্গে মামুন নিজেও তাকে মারধর করেন। পরে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে তাদের হাত থেকে রক্ষা পান বলে দাবি করেন তসলিম। তাই প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে এ ঘটনার তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খাঁন বলেন, আমি একজন ইউপি চেয়ারম্যান। তাই কেউ অভিযোগ করলে আমি তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি কি না? তিনি বলেন এলাকায় একটি প্রতিবন্দ্বি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষক নিযোগের কথা বলে একাধিক ব্যাক্তির কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নেন তসলিম।
এ ব্যাপারে একজন আদালতে মামলাও করেছেন। এ পর্যন্ত আমার কাছে ১৯টি অভিয্গো রয়েছে তসলিমের বিরুদ্ধে। যারা তার কাছে টাকা পাবে তারা কাল আমার অফিসে নিয়ে আসে। পরে পাওনাদাররা উত্তেজিত হলে আমি তসলিমকে এগিয়ে দিয়ে আসি। সকালে শুনি আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। বিষয়টি আমাকে বিস্মিত করেছে। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন উনি কত মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে কেউ অভিযোগও করেননি।
Leave a Reply