পটুয়াখালীর দশমিনায় চুরির অপবাদে হত্যা, ১৬ মাস পর লাশ উত্তোলন Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




পটুয়াখালীর দশমিনায় চুরির অপবাদে হত্যা, ১৬ মাস পর লাশ উত্তোলন

পটুয়াখালীর দশমিনায় চুরির অপবাদে হত্যা, ১৬ মাস পর লাশ উত্তোলন

পটুয়াখালীর দশমিনায় চুরির অপবাদে হত্যা, ১৬ মাস পর লাশ উত্তোলন




দশমিনা প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বড়গোপালদি গ্রামের বড় মুন্সিবাড়ির ওলিউল (১৩) নামে এক কিশোরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। সোমবার দশমিনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল কায়উমের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।এ সময় মামলার আইও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. হুমায়ুন কবির ও দশমিনা থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

 

নিহত কিশোর ওলিউলের বাবা জামাল মুন্সির অভিযোগ, ২০১৯ সালে তার ছেলেকে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক ও তার ছেলেসহ ৫ জন মিলে হত্যা করে। পরে আমার ছেলে ওলিউলকে হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে বলে অপপ্রচার চালায়।

 

থানা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড় গোপালদী গ্রামের ইউনুছ মুন্সির ছেলে মো. জামাল মুন্সি সংসারে অভাব-অনটনের কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় কাজের খোঁজে যান। পরে সেখানে নিজে রাজজোগালি ও ছেলে ওলিউলকে একটি মাদ্রাসায় কোরান শিক্ষার জন্য ভর্তি করেন।

 

নিজের আয় রোজগার কম হওয়ায় মাদ্রাসায় লেখাপড়া বন্ধ করে ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপার বাজারের ধনিয়া সড়কে অবস্থিত স্বপন ঘোষের মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে বয়ের কাজে দেন। জামাল মুন্সি বলেন, মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে বয়ের কাজে যোগদানের ২৪ দিন পর ২২ আগস্ট মালিকের ছেলে দিপু ঘোষের একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়।

 

হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে ওলিউলকে রাতভর নির্যাতন শেষে ২৩ আগস্ট সকালে আমার ছেলেকে মেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে বলে আমাকে খবর দেয়।

 

এ ঘটনায় ওই দিন যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিহতের বাবা জামাল মুন্সি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

 

যার পিটিশন নং-২৮/২০২০। দায়েরকৃত মামলায় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক স্বপন ঘোষ, দিপু ঘোষ, অজ্ঞাত নাহার (তারা মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার ভাগ্যকুল গ্রামের বাসিন্দা), পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াবাড়িয়া গ্রামের সোহেল ও সোহাগ সরদারকে আসামি করা হয়।

 

মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক দায়েরকৃত মামলা আমলে নিয়ে সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।

 

দায়েরকৃত মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুর রহমান মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে ফাইনাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু নিহতের বাবা জামাল মুন্সি ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দাখিল করেন।

 

আদালত নারাজি আমলে নিয়ে পুনরায় মামলার তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার আইও এসআই মো. হুমায়ুন কবির চলতি মাসের ৩ ডিসেম্বর লাশের পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেন।

 

আদালত আবেদন মঞ্জুর করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD