শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
আমজাদ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি॥ অবশেষে ভুয়া সনদধারী আওয়ামী লীগ নেতাকে বাদ দিয়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদরের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রী কলেজের দুই বছর মেয়াদে পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মশিউর রহমান তালুকদার।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের পক্ষে কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামানের ১২ নভেম্বর তারিখে স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাঁকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।তিনি আবার ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে,চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর পূর্বের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। ওই পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক। এবারেও তাঁর নাম সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু তিনি বাংলা বিষয়ে স্নাতকের (সম্মান) ভুয়া সনদ দিয়ে সভাপতি হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে তাঁকে সভাপতি মনোনয়ন না দেওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আনন্দিত ও উল্লোসিত। অনেকেই মুঠোফোনে কল করে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন,‘তিনি (ইব্রাহিম ফারুক) তাঁদেরকে (শিক্ষকদের) নানাভাবে অত্যাচার করতেন।তাঁর আচরণ ছিল খুবই বাজে। কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারতেন না।তাঁকে বাদ দেওয়ায় তিনিসহ সবাই খুব খুশি হয়েছেন।’
ওই কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কাজী মো. নাসির উদ্দিন বলেন,‘বিধি অনুযায়ী ডিগ্রী কলেজের সভাপতি হতে হলে ন্যূনতম স্নাতক পাশ থাকতে হয়। যা ইব্রাহিম ফারুকের ছিল না।এরপরেও তিনি অবৈধভাবে সরকারদলীয় প্রভাব বিস্তার করে ২০১২ সালে একবার সভাপতি হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ দেওয়া হলে সত্যতা পেয়ে সভাপতি পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফের এইচএসসি (১৯৮৩) পাশের ৩০ বছর পর ২০১০-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকার বিতর্কিত ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কালো তালিকাভুক্ত আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি (৫৪/১ প্রগতি স্মরনী, বারিধারা-নদদা) থেকে বাংলা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) পাশের একটি সনদ (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১০৮০৮৯১) সংগ্রহ করেন। অথচ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ে পড়ানোরই অনুমতি ছিল না। ওই সনদ দিয়ে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফের সভাপতি হয়েছিলেন।
Leave a Reply