শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
সুমন খান,স্বরুপকাঠী প্রতিনিধি:
স্বরুপকাঠীতে একের পর এক চুরি ডাকাতি সহ নানা অপর্কম চলে আসছে তার সাথে মাদকের চাহিদা বেড়ে চলছে।কিন্তু মাদক প্রতিদিনের রোজনামচায় পরিনত হচ্ছে নেছারাবাদ উপজেলার সর্বএ। মাসের এিশ দিন খাতা কলম দিয়ে গুনতে সময় লাগলেও এই সময়ে অপরাধ করতে সময় লাগেনা। চুরি ডাকাতি ও মাদক সেবন সহ রমরমা ব্যবসা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে বীরের মত এক এক করে সাজাতিস বা চুরি করছে সুকৌশলে।
অতথ আর এরি সুএ ধরে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র বুধবার রাত্রে সমুদয়কাঠীর কালির মোড়ে ডাকাতি করে ডাঃ জনারধনের বাসায়। রাএ প্রায় আনুমানিক ৩ টার সময়ে ডাকাতরা জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে বলে ডাক্তার পরিবার জানান। এ সময় ডাকাতরা লিপি সহ তার মাকে বেধে রাখে রশি দিয়ে। তবে ডাকাতরা লিপির সাথে বাজে ব্যবহার সহ শারীরিক নির্যাতন করে বলে এলাকার লোকজন জানান। ডাকাত চক্র প্রায় এিশ হাজার ক্যাশ টাকা ও প্রায় তিন ভরির মত সোনা নিয়ে যায়। তবে শারীরিক নির্যাতনেরর ভয়ে মা মেয়ে কোন ধরনের চিৎকার দিতে সাহস পায়নি।
এ ব্যাপারে এলাকার এক প্রবীন (নাম না প্রকাশের শর্তে) গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান,আমাদের এলাকায় এসব কি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তিনি আরও বলেন গত সপ্তাহে স্বরুপকাঠীর বন্দরের এস এ টাওয়ারে র মোবাইলের দোকানে সকাল ৬ টার সময়ে চুরি হয় ডাকাতের মতন। বীরের মত সকাল বেলা ফিল্মি স্ট্রাইলে চুরি করে সি সি ক্যামেরা থাকা সত্বেও কোন প্রমান পাওয়া যাচ্ছে না । বর্তমানে এই চক্র পৌরভায় একের পর এক চুরি করে যাচ্ছে বীরদর্পে। এদের সাহস দেখলে সাধারন মানুষের বাক শক্তি হারিয়ে ফেলবে। কয়েক মাস আগে সহকারী পুলিশ কমিশনারের বাসার নিজ থেকে দামী বাইক নিয়ে যায়।এর ঠিক এএক সপ্তাহ পর কলেজ রোড় এলাকার এক এস আইর বাসা থেকেও এ্যাপাসী বাইক নিয়ে যায় চোর চক্র। তার পরে কাজী বাড়ি বিশাল এক ডাকাতি হয়। এদিকে গত কয়েক মাসে নেছারাবাদ উপজেলায় প্রায় ২৮ টি ছোট খাট চুরি ও ডাকাতি সংগঠিতহয়।আন্দাকুল,আটঘর,আদমকাঠী,মাহামুদকাঠী,মুসলিমপাড়া,আউরিয়া,আরামকাঠী,মাদ্রা,জিনুহার,সাগরকান্দা,জুলুহার,মৌশানী,কামারকাঠী,মাগুরা,রাহুতকাঠী মিয়ারহাট ও কৌীিখাড়া চুরি ঘটনা ঘটে যায়, আকলম ও পৌর সভায়। এছাড়াও দৈহারী,আমতলা,
গনকপাড়া,গয়শকাঠী,চিলতলা,খারারবাগ,সোহাগদল,বরছাকাঠী,নান্দুহার,সুটিয়াকাঠী,ডুবি, কাটাখালি,চামী সহ ইন্দেরহাট বন্দরও বাদ পড়েনি। অবশ্য ক্ষতি গ্রস্থরা অনেক সময় নেছারাবাদ থানায় সাধারন ভাবে জিডিও করতে চায় না। অবশ্য প্রশাসন ডাকাতি সহ চুরির কথা অকপটে স্বীকার করেছে। তবে এটাও সত্য প্রশাসন মাদক নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছেন। সর্বপরি প্রশাসন সহ এলাকার সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে চুরি বা ডাকাতি রোধ করতে। পাশাপাশি রাএি কালীন সময়ে পাহাড়ার ব্যবস্থা আর বেশী জোরধার করতে হবে। তাহলেই চুরি কিংবা ডাকাতির মাএা অনেকাংশে কমে আসবে বলে এলাকার বিঞ্জ মহল মনে করেন।
Leave a Reply