সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেরাইল পাশ দিয়ে বয়ে চলা সেউটিয়া খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি প্রায় ত্রিশ বছর আগে নির্মাণ করা হলেও আর কখনো সংস্কারের উদ্যোগ নেননি কর্তৃপক্ষ।
ফলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে এটি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে। প্রয়োজনের তাগিদে স্থানীয়রা বাঁশ খুঁটি দিয়ে ব্রিজটি কোনো রকমে সচল রাখার চেষ্টা করেছেন।
বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, তেরাইল-দেবিপুর সড়কের সেউটিয়া খালের ওপর প্রায় তিন যুগ আগে নির্মিত হয় জনগুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি। ব্রিজটি নির্মাণের পর কখনো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ব্রিজটি প্রায় ভেঙে পড়ার মত হয়ে গেছে। দেবে গেছে ব্রিজের একটি অংশ। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে ।
ব্রিজের নিচে বাঁশের ঠেকা দিয়ে কোনো রকম টিকে রাখা হয়েছে। ৬-৭ মাস আগে ব্রিজের ছাদের এক কোনা ভেঙে পড়ে। তেরাইল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আজগর আলী স্থানীয় কৃষক আব্দুল মান্নান, সাইফুল ইসলাম জানান, এই ব্রিজটি নির্মিত হয়েছে তিন যুগ আগে। তখন মূলত খাল পাড়ি দিতেই এই ব্রিজটি কাজে লাগাতো এলাকার মানুষ।
কয়েক বছর আগে মেহেরপুর জেলা সদর, গাংনী উপজেলা শহর ও কুষ্টিয়া জেলার সঙ্গে পাঁচটি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ওই সড়কটি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নানা যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে এই ব্রিজটির ওপর।
৭ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজটি বর্তমান সড়কের সঙ্গেও বেমানান। সরু হওয়ায় যানবাহন একমুখী চলাচল করতে পারে শুধু।
দেবিপুর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ জমশেদ আলী ও সোনা সিয়া জানান, ৮০র দশকে ব্রিজটি নির্মিত হয়। ব্রিজ নির্মাণকালে মাটি ধসে দুইজন নির্মাণ শ্রমিক মারা যায়। মাঠের ফসল ঘরে তোলা এবং উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র সড়কের ব্রিজটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস আরো জানান, বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রকৌশল অফিসে যোগাযোগ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। তাই স্থানীয়দের সহযোগিতায় আপাতত বাঁশের খুঁটি দিয়ে ব্রিজটিকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকম মাঠ থেকে কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তুলছেন এছাড়া এলাকার মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
কৃষক আব্দুল মান্নান ও আব্দুর রহমান বলেন, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গাড়ি ভর্তি মালামাল নিয়ে পারাপার হওয়া যায় না। ব্রিজটির একদিকে অনেকটা দেবে গেছে।
মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন সরেজমিনে পরিদর্শন করে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ব্রিজটির বিষয়ে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে। আশা করি আগামী মাসের মধ্যেই টেন্ডার হবে।
গাংনী উপজেলার প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ জানান, ব্রিজটি রিপ্লেসমেন্ট করার জন্য অনেক দিন ধরেই লিখছি। আমাদের ব্রিজ রিপ্লেসমেন্ট একটি প্রকল্প রয়েছে।
Leave a Reply