রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বরিশাল সদর উপজেলার ১নং রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সদস্য যুববন্ধু আরিফিন মোল্লার আয়োজনে স্বাধীনতার স্থপতি,জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার সহ ১৫ আগস্ট কালোরাতে ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে নিহতদের ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তার নিজ বাড়িতে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সদস্য যুববন্ধু আরিফিন মোল্লা বলেন,৭৫ এর ১৫ আগষ্টে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ঘাতকের গুলিতে শুধু বঙ্গবন্ধুকে ক্ষতবিক্ষত করেনি সমগ্র বাঙ্গালী জাতিকে ক্ষতবিক্ষত করেছিল সেদিন।
সদ্য স্বাধীন দেশের মহান স্থপতিকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা রামরাজত্য কায়েম করেছিল।ঘাতক খুনিরা সেদিন মনে করেছিল আওয়ামী লীগকে শেষ করে দিয়েছি, কিন্তু আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার কারনেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল এবং খুনি জিয়ার পরিবার দূর্নীতির কারনে দেউলিয়া।পরিশেষে তিনি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর সহচর কিংবদন্তি নেতা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক, বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র দীর্ঘায়ু কামনা ও তার সহধর্মিণী প্রয়াত সাহান আরা আব্দুল্লাহ’র বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আয়োজিত দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম টিপুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরো উপস্থিত ছিলেন, রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি চৌধুরী মিজানুর রহমান জাকির,মহানগর ছাত্রলীগ নেতা নির্জন, ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ইউপি সদস্য,ছাত্রলীগ,যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নে যুববন্ধু আরিফিন মোল্লা’র নিজ বাড়িতে গত বছরের ন্যায় এ বছরেও স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের স্মৃতি বিজরিত বাসভবন অর্থাৎ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ির আদলে একটি প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে।
আর সেই বাড়ির সামনে এবং মূল ফটকে বেশ কিছু প্ল্যাকার্ডে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যদের ছবি ও বিভিন্ন উক্তি ‘কাঁদো বাঙালি কাঁদো’, “মুজিব মানে আর কিছুনা,মুজিব মানে মুক্তি পিতার সাথে সন্তানের না লেখা চুক্তি”,”আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবেনা”, “আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার দেশের মানুষকে ভালবাসি সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আমি তাদেরকে খুব বেশি ভালবাসি”,গরীবের উপর অত্যাচার করলে আল্লাহর কাছে তার জবাব দিতে হবে”,ধরনের লেখা শোভা পাচ্ছে।
Leave a Reply