শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনা প্রতিরোধে কার্যকরি পদক্ষেপে চেহারা বদলে গেছে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম)। ভয়ে রোগীর উপস্থিতি কমে গেলেও আমূল পরিবর্তন এসেছে নিয়ম-কানুনে। ফলে শৃঙ্খলায় ফিরেছে হাসপাতালটি-বলছেন দর্শনার্থীরা।
আর করোনা ইউনিটের সাথে সম্পূর্ন আলাদাভাবে চিকিৎসা সেবাদানে প্রস্তুতি গ্রহন করায় আতঙ্ক কমেছে ডাক্তার, নার্স ও সেবা প্রত্যাশীদের।হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র বলছে, হাসপাতালে আগত কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোন ব্যাক্তির সংর্স্পশে গিয়ে অন্য কেউ যেন সংক্রমিত না হয় সেজন্য এই কড়াকড়ি ব্যবস্থা।
জানা গেছে, এতদিন নিরাপত্তা নিশ্চিতে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ সার্বক্ষণিক না থাকলেও এবার আনসার সদস্য সংযুক্তের জন্য আবেদন করেছেন পরিচালক ডাঃ বাকির হােসেন। এছাড়া চিকিৎসক বা নার্স এমন ক্রান্তিকালে যেন অসহযোগীতার মনোভাব না দেখায় সেজন্য কাউন্সেলিংয়ের জন্য দায়িত্বশীলদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
পাশাপাশি সাধারণ ও করোনা ইউনিটের রোগীদের সেবাদাতাদের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধার সুপারিশ পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধায়নে চালু হয়েছে হসপিটাল বাস সার্ভিস। যাতে করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও শিক্ষানবিশ ডাক্তাররা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছেন।
ওদিকে দর্শনার্থীর আধিক্য কমাতে একমুখি করা হয়েছে যাতায়াত। শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি গেটটি ২৪ ঘন্টার জন্য খোলা রাখা হয়েছে। হাসপাতালের অন্যসব গেটগুলো আপতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ২৮ মার্চ, শনিবার থেকে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। একইসাথে রোগীর সাথে যেন একাধিক স্বজন ভিড় করে হাসপাতালের পরিবেশ জনাকীর্ন করে না ফেলেন তাও মনিটরিং করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মেঝেতে দূরত্ব পরিমাপ করে বৃত্ত একে দেওয়া হয়েছে এবং বৃত্ত মেনে চলে সেবা নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ব্যবস্থা করা হয়েছে আগত ব্যক্তিদের হাত ধোয়ার।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা সংকটে যথার্থ মনিটরিং হওয়ায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিবেশ ফিরছে। সেবাদাতাদের মতামতকে গুরুত্ব দিলে তা আরও কার্যকর হবে।
সেবা প্রত্যাশীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই হাসপাতালটি সঠিকভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগটি প্রশংসনিয়। সামাজিক দূরত্ব বজায়, হাত ধোয়া কার্যক্রম, ইমার্জেন্সি গেট খোলা রাখা, অধিক দর্শনার্থী কমিয়ে আনার বিষয়টি সত্যিই ভালো।
হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য মহামারি রোধে হাসপাতালে পরিকল্পিকভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। যেহেতু সংক্রমনকালীন হাসপাতাল হয়ে ওঠে সবচেয়ে র্স্পশকাতর প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রস্তুতিটাও নিতে হয় পরিকল্পিতভাবে। আমরা চাইছি এই অঞ্চলের মানুষ করোনার পাশাপাশি অন্যসব রোগের চিকিৎসা যথাযথভাবে গ্রহন করুক। আর তা নিশ্চিত করাই আমার দায়িত্ব।
Leave a Reply