সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা।বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠাল তলায় এ ঘটনা ঘটে। ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করা হয় এবং নিজের নিরাপত্তা বিচার দাবি করে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন এই শিক্ষার্থী।লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ৮ টায় ক্যাম্পাসের কাঁঠাল তলায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম এবং প্রত্নতত্ব বিভাগের ১১তম ব্যাচের এক ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান বিদ্যুৎ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হাসান হিমেল।
এক পর্যায়ে তারা মমকে ইভটিজিং করার চেষ্টা করলে শরিফ বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শরিফকে বেধড়ক মারধর করেন শাখা ছাত্রলীগের এ দুই নেতা। এতে শরিফের কপালের একাংশ ফেটে যায় এবং রক্ত বের হতে থাকে। মারধর থেকে বাঁচতে দৌড়ে ক্যাম্পাস গেটে গেলে সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা গুরুতর আহত শরিফকে পার্শ্ববর্তী একটি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার কপালে চারটি সেলাই করেন।জানা যায়, ইভটিজিংয়ের শিকার ঐ ছাত্রী নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের সক্রিয় ছাত্রলীগকর্মী।
বিদ্যুৎ ভাই আমাদের ডেকে নিয়ে যাওয়াতে আমরা তার সাথে যাই এবং এর পরে হিমেল আমার সাথে থাকা প্রত্নতত্ব বিভাগের ১১ ব্যাচের এক ছাত্রীর সাথে অসদাচরণ করতে চাইলে আমি বাধা দেই। এতে হিমেল ক্ষুব্ধ হয়ে আমার উপর উপর্যুপরি আক্রমণ করে। একজন সিনিয়র হয়ে জুনিয়রের হাতে মার খাওয়া লজ্জার। আমি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর লিখিত দিয়েছি এবং ৭২ ঘন্টার ভিতরে শাস্তি দাবি করছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে হাসান বিদ্যুৎ বলেন, ‘ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি এবং ঐ ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে ছিল। তাকে আমি কিভাবে ইভটিজিং করবো? আমি তো তাকে বাঁচাতে চেয়েছি।’ কিন্তু কিছুক্ষন পর এই ছাত্রলীগ নেতা ফোন দিয়ে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,‘শরিফ শিবির করে তাই আমরা ২জন মিলে তাকে মারধর করেছি।’ এদিকে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত হিমেলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন,‘মারধরের পর আমি ছেলেটিকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসার খরচের ব্যাবস্থা করেছি। এ বিষয়টি নিয়ে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিব। কিন্তু ইভটিজিংয়ের বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি না।’অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিব।’
Leave a Reply