সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার মনপুরায় লঘুচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৭ গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ওই সমস্ত এলাকায় দিনে-রাতে দু’বেলা পানিবন্দি থাকায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকের চুলায় হাড়ি উঠেনি। রান্না করতে না পারায় অনেকে অর্ধাহারে-অনাহারে গত দুই দিন ধরে দিনযাপন করছেন।
এছাড়াও বেড়িবাঁধহীন চরনিজাম, কলাতলীর চর ও শামসুদ্দিনের নিম্নাঞ্চল ৩-৪ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ওই সমস্ত এলাকার মানুষের দুর্ভোগের একই চিত্র।
এদিকে আজও (রোববার) মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পানিবন্দি এলাকার কাজল, রহিমা, বাদশা, শামসু, ইলিয়াস, রহিম, জামাল, রিংকুসহ অনেকে জানান, দিনের বেলায় জোয়ারের পানিতে বাড়ির উঠানসহ রান্না ঘরে পানি উঠে। এতে দিনের বেলায় রান্না করা যায় না। মুড়ি, বিস্কুট খেয়ে জীবনযাপন করতে হয়। রাতে বেলার জোয়ারে ঘরের ভিতর পানি ঢুকে যায়। তখন ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার মূল ভূখণ্ডের বেড়ির বাহিরে থাকা আলমনগর, মাস্টারহাট, সোনারচর, দাসেরহাট, চরযতিন, পূর্ব আন্দিরপাড় গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চরনিজাম ও কলাতলীর চরসহ শামসুদ্দিন চর গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই সমস্ত গ্রামের অন্তত ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
পানিবন্দি এলাকার হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক, উত্তর সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন ও মনপুরা ইউপির ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান টিটু ভূঁইয়া জানান, রোববার জোয়ারের পানি বেশি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, বেড়ির বাহিরে থাকা গ্রামগুলোতে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আজও মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Leave a Reply