শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি।। হঠাৎ করেই ভোলার বাজারে উধাও হয়ে গেছে আলু। ক্রেতারা আলু কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে। কারণ, খুচরা বাজারে নেই আলু। আর তাই ক্ষোভের শেষ নেই ক্রেতাদের। তবে দু’একটি দোকানে সামান্য কিছু আলু মিললেও তার দাম আকাশ চুম্বি। বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা দরে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে আলুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি থাকায় লোকসানের আশঙ্কায় আলু বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। হঠাৎ করেই আলুর বাজারে কেন এমন অস্থিরতার, তা জানা নেই কারও।
তবে ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং চলছে।
ভোলার কাচা বাজার ঘুরে জানা গেছে, দাম বেশি থাকলেও এতদিন ভোলার বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল আলুর। কিন্তু এক রাতেই পাল্টে গেছে সেই চিত্র। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই খুচরা বাজারে নেই আলু, পাইকারি আড়তেও তীব্র সংকট। এ অবস্থায় আলু কিনতে এসে অনেকটা খালি হাতে ফিরছেন ক্রেতারা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা আলু মজুদ করে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অস্থির করে তুলেছেন আলুর বাজার।
মহিউদ্দিন, শাহেল আলম ও রাজ্জাকসহ কয়েকজন ক্রেতা বলছেন, শুক্রবারও বাজারে আলু ছিল, কিন্তু আজ শনিবার আলু নেই। অনেকেই আলু না কিনে ফিরে গেছেন। সামান্য কিছু আলু পাওয়া গেলেও তার দাম বেশি। এ অবস্থায় বাজার মনিটরিং জরুরি।
এদিকে, একদিকে আলুর সংকট আর অন্যদিকে দাম চড়ার বিষয়ে অজুহাতের শেষ নেই খুচরা বিক্রেতা ও পাইকারদের।
ভোলা কাঁচা বাজার সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি থাকায় সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না, তাই লোকসানের আশঙ্কায় আলু বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে আমাদের হাত নেই, যা হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের বাজারে।
এ ব্যাপারে ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আরিফুজ্জামান বলেন, আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করছেন তারা। তবে কেউ যদি কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দ্বীপজেলায় ভোলায় বাৎসরিক আলুর চাহিদা রয়েছে ৯ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে উৎপাদন হয়েছে ৯৬ হাজার মেট্রিক টন। বিপুল পরিমার চাহিদা বিপরীতে উৎপাদন কম থাকায় বাইরের জেলার ওপর নির্ভরশীল ভোলার আলুর বাজার।
Leave a Reply