মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ সড়ক সংস্কারের কার্যাদেশ পেলেও কাজ করতে না দেয়ার অভিযোগ তুলে ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর ঠিকাদাররা।
বুধবার দুপুরে চরফ্যাশন ও মনপুরায় সড়ক মেরামত ও নির্মান কাজ বাস্তবায়নে বাধা দেয়ার অভিযোগে ভোলা এলজিইডি ভবনের সামনে ঠিকাদাররা একত্রিত হয়ে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় বিক্ষুব্ধ ঠিকাদাররা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ও চরফ্যশন উপজেলা প্রকৌশলীকে কার্যালয়ে অবরূদ্ধ রাখে তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা জানান, প্রায় ৭০ কোটি টাকার কাজ অনলাইন টেন্ডারিং সিস্টেম (ই-জিপি) এর লটারীর মাধ্যমে টেন্ডারে অংশগ্রহন করেন ভোলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০ থেকে ২৫ জন ঠিকাদার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় সড়ক মেরামত ও নির্মান কাজের ঠিকাদার হিসেবে নির্বচিত হয়।
তবে প্রায় দুই মাস পেড়িয়ে গেলেও তাদের কাজের সাইড বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এলজিইডির সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার আবেদন করলে তিনি এমপি জ্যাকবের নির্দেশ ছাড়া কাজ বুঝিয়ে দিতে অপারগতা জানান।
মেসার্স তহুরা এন্টারপ্রাইজের মালিক আব্দুর রাজ্জাক, ঠিকাদার জুলফিকার আহমেদ জুয়েল, ঠিকাদার রুহুল আমিন কুট্টিসহ কয়েক জন ঠিকাদার জানান, স্থানীয় এমপি জ্যাকবের কাছে কাজের সাইড সম্পর্কে আলোচনা করলে তিনি প্রতিটি কাজের জন্য ২০ পার্সেন্ট করে টাকা তার ম্যানেজারের কাছে জমা দেয়ার কথা বলেন। তা না দেয়ায় প্রকৌশলী আমদেরকে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এতে করে আমরা টেন্ডারে কাজ পেয়েও কাজ করতে পারছি না।
তারা আরো জানায়, এমপি জ্যাকবের এলাকায় এর আগেও কোনো ঠিকাদার তাকে টাকা দেয়া ছাড়া কাজ করতে পারতো না। ওই এলাকায় কাজ করতে হলে তাকে কাজ প্রতি ২০ শতাংশ করে টাকা দিতে হতো। এতে করে কাজের মান থারাপ হতো। এব্যাপারে ঠিকাদাররা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এব্যাপারে ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবকে তার ব্যবহৃত দুইটি মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
ভোলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, কাজের মূল ঠিকাদাররা কেউ উপজেলা প্রেকৌশলীর কাছে যায়নি। তার পরও ঠিকাদারদের অভিযোগের বিষয়টি ও উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানে আলোচনা করা হচ্ছে।
Leave a Reply