শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি:ভোলার বাংলা স্কুল মোড়ে মোটরসাইকেল কাগজ পরীক্ষার সময় সামান্য বিষয় নিয়ে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে পেটাল এক পুলিশ কর্মকর্তা। এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। আহত আওলাদ হোসেন (৩২) বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম সম্পাদক। রোববার বিকালে ভোলার বাংলাস্কুল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এর জেরে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ পুলিশ সুপাররের দফতরে অভিযোগ করেন। তারা অভিযুক্ত এএসআই শাহে আলমের শাস্তি দাবি করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের এএসআই মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তিকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনেন। পড়ে তাকে কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলেন। এরপর তার বুকের ওপর লাথি দিতে থাকেন। দুই মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে আহত আওলাদ ও তার ভাই মো. আব্বাস উদ্দিন জানান, আওলাদ ও তার এক বন্ধু ছাত্রলীগ নেতা দুটি আলাদা মোটরসাইকেল যোগে বোরহানউদ্দিন থেকে ভোলা জেলা শহরে আসেন।
শহরের বাংলা স্কুল মোড়ে পুলিশ মোটরসাইকেল চেকিংকালে কাগজপত্র ঠিক থাকায় আওলাদকে ছেড়ে দেন। কিন্তু তার অপর সঙ্গীর হেলমেট না থাকাসহ কাগজে কিছু অসঙ্গতির জন্য মোটরসাইকেল আটকে রাখে। ওই সময় আওলাদ অনুরোধ করতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এএসআই শাহে আলম।
এক কথা দু কথায় এএসআই শাহে আলম আওলাদের ওপর চড়াও হন। গলার মাফলার ধরে টেনে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে লাথি মারতে থাকেন। স্থানীয়রা এমন দৃশ্য দেখে হতবাক হন। এ সময় বেশ কয়েকজন পথচারী ওই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিওতে ধারণ করেন।
যা ইতিমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। পরে অবশ্য এএসআই শাহে আলম এমন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। ভোলা থানার ওসি মো. ছগির মিয়া বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এহছানুল হক কিশোর, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি বেলায়েত হোসেনসহ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সমঝোতা করে দেয়া হয়েছে। রাত সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় সমঝোতার চেষ্টা করছিলেন ওসি ছগির মিয়া।
Leave a Reply