সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌর শহরের ইটভাটা ব্যবসায়ী শমসের হাজীর ছেলের বউ খুশবাদ জাহান খুশি (১৯) শ্বশুরের বাড়ির দরজায় সংসারের দাবিতে অনশন করছে। এদিকে স্ত্রীর আসায় খবরে স্বামী সেলিম পতালক রয়েছেন।
শুক্রবার বিকাল থেকে অনশন করছেন তিনি। রোববার সকালে দেখা যায়, ওই তরুণীকে দেখার জন্য শমসের হাজীর বাড়িতে সামনে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।
খুশবাদ জাহান খুশি বীরগঞ্জ পৌর শহর সংলগ্ন নিজপাড়া ইউনিয়নের আব্দুল খালেক চৌধুরীর মেয়ে। তিনি বীরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
অন্যদিকে মো. সেলিম আরিফ বাজারের বাসিন্দা ভাটা ব্যবসায়ী হাজী সমশের আলীর ছেলে। তাদের বাড়ি পৌর শহরের সুজালপুর ৪ নং ওয়ার্ডে।
জানা গেছে, সমশের হাজীর ছেলে সেলিমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরে তাদের দৈহিক সম্পর্কেও ঘটে। এরই সূত্র ধরে গত ২৮ নভেম্বর গভীর রাতে সেলিম বাড়ির লোকজনের অগোচরে মেয়েটির ঘরে প্রবেশ করে। পরে এলাকাবাসী সেলিমকে আটক করে তার পরিবারকে সংবাদ দেয়। এলাকাবাসী ২৯ নভেম্বর ২৫ লাখ টাকা দেনমোহর করে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে দেয় তাদের।
সাংবাদ পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মেয়ের মা ফাতেমাতুজ জান্নাত জানায়, বিয়ের পর থেকে সেলিম ও তার বাবা হাজী সমশের তালাকের হুমকি দিয়ে বিশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমার মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে সংসার করার জন্য গেলে হাজী সাহেব ও তার মেয়ে আমার মেয়ে খুশিকে মারধর করে বাড়ির বাইরে তাড়িয়ে দেয়। খুশি সেখানে অবস্থানের সংবাদ পেয়ে আমি এসে বুঝিয়ে বাড়িতে নিতে চাই, কিন্তু সে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে গেটেই বসে পড়ে।
মেয়ের বাবা আব্দুল খালেক চৌধুরী ন্যয়বিচার কামনা করে জানান, বর্তমানে হাজী সমশের চাহিদা মতো ২০ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় তারা মেয়েকে আমার বাড়িতে রেখে গিয়ে আর নিচ্ছে না। যৌতুকের দাবি মেটানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে হাজী মো. সমশের আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, মেয়েটির বাড়ির কাছাকাছি আমার ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান ইটেরভাটা হওয়ায় তারা আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে আটক করে বিয়ে দেয়।
নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাজী সমশের ভাটার মালিক হওয়ার অহংকারে মেয়েটির জীবন নিয়ে খেলা করছে। তারা টাকার বিনিময়ে মেয়েটিকে তালাক দিয়ে সংসার থেকে বঞ্চিত করছে। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply