মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, মাত্র তিন বছরে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি কিভাবে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সে পরিকল্পনা করেছিলেন। আইনও করেছিলেন।
কিন্তু ঘাতকের নির্মম বুলেটে তিনি নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। আল্লাহর অশেষ রহমতে তার দুই কন্যা বেঁচে থাকায় তার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ত্রিশ লক্ষ শহিদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী থেকে শুরু করে আমাদের জাতীয় নেতাদের যে স্বপ্ন ছিল সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ জন্য শেখ হাসিনা নো নরমালি লিডার, সি ইজ ভিশনারি লিডার।
মন্ত্রী আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় পিরোজপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ জন খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক ও ক্রীড়া সংগঠকদের মাঝে ৭ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এতো সব ষড়যন্ত্রের মধ্যেও তিনি করোনার ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে চলেছেন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। ১৯৬৯ সালের ২০ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু ২০ মার্চ প্রথম এ ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারেন।
তখন তিনি সিডনি সোবা নামক মার্কিন হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রটারিকে তিনি এ কথা জানান। এরপর তিনি ২৩ মার্চ ওয়াশিংটনে জানান। এভাবে ৯ বার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি এ তথ্যগুলো বেড়িয়ে এসেছে। কিন্তু দৈহিকভাবে না থাকলেও বঙ্গবন্ধু আদর্শিক কারণে আমাদের মাঝে অমর হয়ে আছেন। বাংলাদেশের অস্তিস্তের সংঙ্গে বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্দভাবে থাকবেন। বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু পরিপূরক শব্দ। যতদিন শোষক এবং শোষিত থাকবে, শোষিতের কাতারে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারিত হবেই।
মন্ত্রী আরো বলেন, আজ শেখ হাসিনার অনেক প্রশ্নের জবাব আমরা দিতে পারব না। শেখ হাসিনা যদি প্রশ্ন করেন আমার বাবা জীবনের মূল্যবান সময় জেলে কাটিয়েছেন। তোমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বাংলাদেশ দিয়েছেন। তাকে যখন হত্যা করা হলো তোমরা তার জন্য কি করেছিলে।
এ প্রশ্নের উত্তর দিতে আমরা পারবো না। বাবার মতো শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা বাংলাদেশের সেবা করে চলেছেন। বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের তাদের সহায়ক হওয়া উচিৎ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু আলি মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাহিদ ফারজানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাকিম হাওলাদার, সহ-সভাপতি শাহজাহান তালুকদার, যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকিব।
Leave a Reply