সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। তবে শীতের আগাম সবজি বাজারে এলেও দাম কমেনি। ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরের নিচে মিলছে না বেশিরভাগ সবজি।
শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, টিঅ্যান্ডটি বাজার, কমলাপুর, বাসাবো, খিলগাঁও, মালিবাগ ও রামপুরা বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে প্রতিকেজি চিচিঙ্গা-ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, করলা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, উস্তা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, প্রতিকেজি ধনিয়া পাতা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, বাজারে বছরের সব সময়ই সবজির সরবরাহ থাকে। তবে সে তুলনায় দাম কমে না। এর মধ্যে শীতের সবজি বাজারে এলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতের সবজি এলেও তা পর্যাপ্ত না। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।
শীতের সবজি হিসেবে খ্যাত গাজরের দাম কিছুটা কমলেও চলতি সপ্তাহে আবার বেড়েছে। ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা হয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় গাজরের দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লেই দাম কমবে গাজরের।
সরবরাহ কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শাক। বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, পালং শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, ডাটা শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, মুলা ১২ থেকে ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
এদিকে দাম কমেছে শসা, কাঁচা মরিচ ও ফুল কপির। প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হয়েছিলো ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়।
এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজের। কেজিতে ১৫ টাকা কমে চীন, মিসর, তুরস্ক ও পাকিস্তানের পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কেজিতে ৫ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, তেল, মুরগি ও মাংসের বাজার। প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১০০ টাকায়। প্রতিকেজি ডাবলি ও অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকা, চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, পায়জাম ৫০ টাকা, মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, জিরা মিনিকেট ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা, নাজির ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। তবে কেজিতে ৫ টাকা কমে পোলাও চাল (খোলা) বিক্রি হচ্ছে ৯০ কেজিতে।
এদিকে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরু মাংস ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা।
Leave a Reply