শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ শরীরে জ্বর থাকায় সালমা খাতুন (৬৭) নামে এক বৃদ্ধাকে ভর্তি নেয়নি ফেনীর কোন হাসপাতাল। পরে স্বজনদের সামনে সড়কে প্রাণ যায় ওই বৃদ্ধার। বুধবার মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে ফেনীর শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে। মারা যাওয়া ওই বৃদ্ধা ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর গ্রামের সফিউল্লাহর স্ত্রী। একইদিন বাদ আসর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানায়।
ওই বৃদ্ধার ছেলে কামাল উদ্দিন জানান, তার মা গত কয়েকদিন ধরে তার প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছিলেন। গত সোমবার সকালে ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ভর্তি করান। কিন্তু দুপুর দুইটা পর্যন্ত তাকে কোন চিকিৎসা না দেওয়ায় বিকালে স্বজনরা সেখান থেকে নিয়ে যান। এরপর তাকে একে একে শহরের আলকেমি হাসপাতাল, আল-বারাকা হাসপাতাল, কার্ডিয়াক হাসপাতাল, মেডিনোভা হাসপাতাল, ইবনে হাসমান হাসপাতালে ভর্তি করাতে চাইলেও কেউ ভর্তি করাতে রাজি হননি। নিরুপায় হয়ে সন্ধ্যায় তাকে বাড়ি নিয়ে যান।
বুধবার ফের হাসপাতালের উদ্দেশ্যে তাকে সিএনজি অটোরিক্সায় নিয়ে শহরে আসেন ছেলে কামাল উদ্দিন ও জামাতা নজরুল ইসলাম। তারা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভর্তি করাতে পুনরায় ফেনী কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যান। এবারও ভর্তি করাতে ব্যর্থ হয়ে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে সিএনজি অটোরিক্সায় তাকে রেখে ছেলে ও জামাতা মিলে পরামর্শ করছিলেন।
এ সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হতভাগ্য বৃদ্ধা। সালমা খাতুনের জামাতা নজরুল ইসলাম জানান, কোন হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পেরে এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন তার শ্বাশুড়ি। মৃত্যুর আগে তার ১শ ২ ডিগ্রি পরিমাণ জ্বর ছিলো। পপুলারে পরীক্ষার রিপোর্টে তার টাইফয়েড ধরা পড়ে বলে তিনি জানান।
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুবাইয়াত বিন করিম জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেছে এমন তথ্য তার জানা নেই। তাই নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি।
Leave a Reply