সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
রাহাত সুমন॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় শের-ই বাংলার চাখারে সাবরেজিষ্ট্রী অফিসের ভবনটি বেহাল হয়ে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে। ২০০২ সালে নির্মিত এ ভবনটির নির্মাণ কাজ অতি নিম্নমানের হওয়ায় ছাদ, ভিম ও দেয়ালে অসংখ্য ফাঁটল ও পলেস্তরা খসে পড়ে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে কক্ষের ভিতরে পানি পড়ে একাকার হয়ে যায়। ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি ভিতরে পড়ে রেকর্ডপত্র নষ্ট হওয়ার আশংকায় তা রক্ষায় রেকর্ড রুমের ছাদের সিলিংয়ের নিচে ভিমের সঙ্গে পলিথিন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। রেকর্ডরুম, সাব রেজিষ্টারের এজলাস ও খাসকামরা সহ প্রতিটি রুমের ফ্লোর দেবে গিয়ে ফাঁটল সৃষ্টি হয়ে সেখানে উঁই পোকা বাসা বাঁধায় গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র উঁই পোকার পেটে চলে যাওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে।
পলেস্তারা খসে পড়ে ও ছাদ ভেঙ্গে মাথার ওপর পড়ার আশংকা নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় সাব রেজিষ্টার সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজ করতে হয়।দূর্ঘটনার আশংকায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাদের ছাদের দিকে বার বার দৃষ্টি চলে যায়।এছাড়া সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে দলিল করতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা ও মহুরীদেরকেও আতঙ্কের মধ্যে সেখানে অবস্থান করতে হয়। ভবনটির অবস্থা এতটাই নাজুক যে, যেকোন সময় ভবনটি ধ্বসে পড়তে পাড়ে। বেহাল হয়ে পড়া এ ভবনে জনগুরুত্বপূর্ণ এ দপ্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।এ ব্যপারে উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. মহসিন সরদার ফরিদ বলেন ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণ এখন অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
তা না হলে বৃষ্টির পানির কারণে রেকর্ডপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া সহ ভবন ধ্বসে পড়ে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।এ প্রসঙ্গে চাখার সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের সাব-রেজিষ্টার মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার জানান ভবনটির এ বেহাল চিত্র তুলে ধরে সংস্কারের জন্য গণপূর্ত বিভাগের (পিডব্লিউডি) কাছে একাধিকবার লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।এদিকে চাখার ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খিজির সরদার সহ স্থাণীয়রা জনগুরুত্বপূর্ণ সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
Leave a Reply