রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক :একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ৩ নম্বর আসনে ছোট-বড় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে কে কে নির্বাচনী মাঠে থাকবে তাই নিয়ে ইতোমধ্যে ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অন্যদিকে মৌলভীবাজারের ১ ও ২ নম্বর আসনে দলের টিকিট পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
জেলা সদর ও রাজনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজারের ৩ নম্বর সংসদীয় আসন। এ আসন থেকে মাঠে সক্রিয় আছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী।
প্রায় চার লাখ ভোটারের এ আসনে আগামী নির্বাচনে দলীয় টিকিট পেতে গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দল ও তৃণমূলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন বর্তমান সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন সম্ভব্য প্রার্থী।
মৌলভীবাজার-১-এর আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী সৈয়দা সায়রা মহসীন বলেন, আগামী দিনের জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি, আর যে কাজগুলো বাকি আছে সেগুলো করব। মানুষের জন্য কাজ করবো তাই আমি আশাবাদী।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জনগণের জন্য ও সমাজের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
এদিকে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় আছে, জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের নাম।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান বলেন, আমার বিষয় জনগণকে পরিচয় করার কিছু নেই, মানুষ জানে আমি কি করতে পারি।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, এ আসন বিএনপির আসন বলে আমরা মনে করি। চারবার আমরা বিজয়ী হয়েছি। এ আসন আবার আমরা পুনরুদ্ধার করতে পারবো।
অন্যদিকে মৌলভীবাজার-১ আসনেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এবার ১ আসন থেকে বড় দু’দলেই রয়েছে হেভিওয়েট প্রার্থী। নৌকার পক্ষে মাঠে আছেন আওয়ামী লীগের হুইপ শাহাব উদ্দিন এবং বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী।
মৌলভীবাজার-১-এর আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশের উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা সেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আমার এলাকার মানুষও পিছিয়ে নেই। অনেক উন্নতি আমার এলাকারও হয়েছে। আমি শতভাগ আশাবাদী।
বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, যদি আমাদের দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তাহলে অবশ্যই আমিও সেই সিদ্ধান্তের অংশীদার হওয়ার আশা রাখি।
এছাড়াও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নানা কৌশলে এলাকায় নিজেদের পরিচিতি বাড়াচ্ছেন।
জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী আহমদ রিয়াজ বলেন, পরিবর্তনের এই যুগে মানুষ পরিবর্তন চায়, পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর পক্ষে জাতীয় সংসদে আমি কথা বলার সুযোগ চাই, আশা করি সেই সুযোগ পাবো।
একই সঙ্গে মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসনেও লেগেছে একাদশ সংসদ নির্বাচনের হাওয়া। ভোটের রাজনীতিতে এ আসনে প্রভাব বেশি আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির। নির্বাচন সমানে রেখে তাই এই দু’দলের প্রার্থীরাই বেশি মাঠ গরমের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
মৌলভীবাজার-২-এর সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বার বার দরকার, আমরা একবাক্যে শেখ হাসিনার সঙ্গে আছি।
মৌলভীবাজার-২ এর জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী মুহিবুল কাদির চৌধুরী বলেন, এই উপজেলায় জাতীয় পার্টি অনেক শক্তিশালী, দলের চেয়ারম্যান আমাকে যদি নমিনেশন দেয়, আমি নির্বাচিত হয়ে এই এলাকায় যত সমস্যা আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবো।
অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন সাবেক এমপি এমএম শাহীন এবং জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা।
বিএনপি প্রার্থী এমএম শাহীন বলেন, নির্বাচনে আমি দু’বার সংসদ সদস্য ছিলাম, তারই প্রেক্ষিতে আমি আশা করছি এবার ২০ দলীয় জোটের একজন প্রার্থী হবো।
আসনগুলোতে সব দলেরই একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী থাকায় ভোটারদের দৃষ্টি এখন কেন্দ্রের দিকে। তারা চাইছেন প্রতিটি দল থেকে যেনো একজন যোগ্য ব্যক্তিকেই তাদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
Leave a Reply