সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূল আসামিকে বাদ দিয়ে মিন্নিকে নিয়ে পুলিশের বেশি উৎসাহিত হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, পুলিশ তদন্তে রিফাত হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রধান সাক্ষী মিন্নি আসামি হতে পারে। তবে মূল আসামি বাদ দিয়ে মিন্নিকে নিয়ে বেশি উৎসাহিত হওয়া উচিত হবে না।
রোববার (২৮ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
একই সঙ্গে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বা সিআইডির তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন আদালত।
রিটকারী আইনজীবীকে আদালত বলেন, পুলিশের তদন্তে অসন্তুষ্ট হলে মিন্নির পরিবারের কেউ আদালতে আসতে পারে। স্বাধীন দেশে এটা সবার অধিকার।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ২৫ জুলাই বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বা সিআইডির তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, স্থানীয় পুলিশ এমন স্পর্শকাতর মামলার তদন্ত করতে অভিজ্ঞ নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেহেড হামলা মামলাসহ বড় ধরনের মামলা সিআইডি তদন্ত করে। সিআইডির কাজ হলো তদন্ত করা। কিন্তু স্থানীয় পুলিশের কাজ আসামিদের গ্রেফতার করা। ফেনীর নুসরাত হত্যা মামলা পিবিআই তদন্ত করে। সুতরাং রিফাত হত্যা মামলাও ন্যায়বিচারের স্বার্থে পিবিআই বা সিআইডি দ্বারা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হোক।
Leave a Reply