মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাঁড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নে দুই বছর ধরে খারুভাজ নদীর ওপরে নির্মিত সেতুর পিলার ভেঙে পড়ে আছে। এ অবস্থায় প্রতিদিন শত শত মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। অথচ সেতুটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এর ফলে ওই সেতুর দুই পাশের গ্রামের মানুষ পড়েছেন চরম দূর্ভোগে। ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করছে।
আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রংপুর-২(বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের এমপি আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক-এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সেতুটি পুনরায় নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে টেন্ডার দেওয়া যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানান তিনি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার হাঁড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের খারুভাজ নদীর নেকিরহাট নামক স্থানে সেতুটি অবস্থিত। ১৯৮০ সালের দিকে সেতুটি নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষ চলাচল শুরু করেন। গত দুই বছর আগে বন্যায় সেতুটির পিলারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেতুর এক পাশের পিলার ভেঙে মাটিতে দেবে যায়। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ভাঙা সেতুর এক পাশে মাটি কেটে চলাচলের উপযোগী করে। এতে হাঁড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মানুষজন রংপুর সদর ও বদরগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। বিশেষ করে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ দূর্ভোগে পড়ে ওই এলাকায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ। সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়কও ভেঙে গেছে। নিচের দুইটি পিলার ভেঙে আটকে আছে সেতুটি। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয় লোকজন। অথচ এলাকারবাসীর শত অনুরোধে সেতুটি ভেঙে পুনরায় নির্মাণের উদ্যোগ না নেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন সেখান মানুষজন।
ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী বাবুল আখতার ও মিলন মিয়া বলেন, ‘বাহে এলাকার সবায় কয় ‘মাজা ভাঙা’ ব্রিজ। দেশের এত জায়গায় উন্নয়ন হওচে। কিন্তু হামার ছোট্র একনা ব্রিজ নয়া করি বানাওচে না। ছইল-পইলেরা ভয় নিয়া ব্রিজের ওপর দিয়া চলাচল করচে। বিশেষ করি বান-বন্যার সময় হামার কষ্টের শেষ থাকে না। কোনদিন যে ব্রিজটা ভাঙি যাইবে কায় জানে।
হাঁড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বাবুল জানান, স্থানীয় প্রকৌশলীর মাধ্যমে সেতুটি পুনরায় নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আহমেদ হায়দার জামান জানান, ওই সেতুটির কথা আমার জানা আছে। ওই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্র নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।
Leave a Reply