মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:নির্বাচনে প্রার্থীদের আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার বিষয়টি বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগে সকল প্রার্থীকে আয়কর রিটার্ন দেয়া বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এখন তা বাধ্যতামূলক নয়।বুধবার সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।তিনি বলেন, এখন থেকে প্রার্থীদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে না। যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (টিআইএন) আছে তারা দেবেন। আর যাদের নেই, তাদের দেয়ার প্রয়োজন নেই।হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা এটি বাধ্যতামূলক করার জন্য মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রস্তাবনা এসেছিল যে, দেশের অনেক কৃষকও নির্বাচনে অংশ নেন। তারা আয়করের বাইরে রয়েছেন। তাই নির্বাচনে সকলের সুযোগ নিশ্চিত করতে আয়কর রিটার্নি দেওয়ার বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে।ঋণখেলাপিদের বিষয়ে সচিব বলেন, আগে নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে ঋণখেলাপীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের সাতদিন পূর্বে ঋণ পরিশোধের বিধান ছিল। এখন থেকে ঋণ পরিশোধ করেই প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।সচিব আরও বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সন্ত্রাসী, মাদকসেবী যারা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে পারে, তাদের গ্রেফতার করার জন্য।কবে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হয় নাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার সাতদিনের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী (পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন) সরিয়ে ফেলতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।এছাড়া যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে এবং শিক্ষকদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তাই শিক্ষামন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই যেন সব পরীক্ষা সম্পন্ন করে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ফাকা করে দেয় যোগ করেন সচিব।আবার বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে ভিসা প্রক্রিয়া শিথিল করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।আবার বিদেশি পর্যবেক্ষদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে ভিসা প্রক্রিয়া শিথীল করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, জানুয়ারিতে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রিতে নেমে আসবে। আবার ডিসেম্বরেও শীত থাকবে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই আমরা ভোটের তারিখ দেব।
Leave a Reply