সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি।। ভোলায় বেড়েই চলছে একের পর এক চুরির ঘটনা। বাসা বাড়ী থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব খানেই আছে চোরের উৎপাত। গত ৬ মাসে প্রায় শতাধিক চুরি ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কমানো যাচ্ছেনা চুরির ঘটনা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দ্বীপ জেলার কয়েক লাখ মানুষ।
ভোলা পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের আলিয়া মাদ্রাসা রোডের ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেনের বাসা। এই বাসার নিচ তলায় থাকেন ঔষুধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার। তার বাসায় দিনে দুপুরে গত শুক্রবার সকালে দরজা ভেঙ্গে মূল্যবান মালামাল সহ নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র।
শুধু তাই এর কয়েক দিন আগে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ফরিদা ভিলা। এই বাসার নিচ তালায় থাকনে পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা। তার বাসার সবাই বেড়াতে গেলে জানালার গ্রিল কেটে চুরি হয় বাসায়। এতে ৬ ভড়ি স্বর্নালংকার সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে যায় চোর। এর কয়েক দিন আগেই পাশের একটি বাড়িতেও চুরি হয়। অনেক সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে চোর। থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং মামলাও হয়েছে। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি নেই।
ঔষুধ কম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার হাবিবুর রহমান জানায়, আমরা শুক্রবার বাসা থেকে দেড় ঘন্টার জন্য বের হয়েছিলাম। এর মধ্যেই ঘটে চুরির ঘটনা। বাসায় এসে দেখি পুরো বাসা তছনছ করে মূল্যবান মালামাল সহ টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। থানায় জানিয়ে কিছু হবে বলে মনে হয়না। এমন যদি প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটতে থাকে তাহলে তো ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পরবে।
পুলিশের সাবেক এসআই আবুল বাশার খান জানায়, সংঘবদ্ধ চোর আমার বাসার গ্রীল কেটে ৬ ভরি স্বর্ণালংকারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যায়। একের পর এক চুরির ঘটনায় আমরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। শুধু এই ২ পরিবার নয় ভোলা শহরের কালীবাড়ী রোড, হেলিপোর্ট রোড, কালীনাথ রায়ের বাজার, বাপ্তা বাস স্ট্যান্ড এলাকা সহ পুরো জেলা শহরে ঘটেছে অসংখ্যা চুরির ঘটনা।
ভোলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এস এম বাহাউদ্দিন জানায়, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে একের পর এক হচ্ছে এই চুরির ঘটনা। এত ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন ধরনের চুরির ঘটনা উৎঘাটন করতে পারেনি। শহরে চুরির বাড়ায় আংতকের মধ্যে আছে মানুষ। পুলিশের ইকটু আন্তরিক হলেই এই ধরনের চুরির ঘটনা কমিয়ে আনতে পারবে। তাই রাতের বেলায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করার দাবী ভোলার সচেতন মহলের।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর সাফিন আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনেই রয়েছে। কিছু চুরির ঘটনা ঘটলেও আমরা অচিরেই কমিয়ে আনতে পারবো। ইতিমধ্যে চুরি-ছিনতাই রোধে পুলিশের টহল বাড়ানো, পাড়ায় পাড়ায় কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরো জোরদার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।দ্বীপ জেলা ভোলায় গত ৬ মাসে অর্ধশতাধিক চুরির ঘটনা পুলিশের রেকর্ডে থাকলেও স্থানীয়রা বলছেন, এ সংখ্যা আরও বেশি হবে।
Leave a Reply