শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন
আরশাদ মামুন, লালমোহন ॥
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম)এর বিভিন্ন অভিযোগকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও কাল্পনিক বলে প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমপি আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ৮ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমপি শাওন বলেন, পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে আমার সময়ে লালমোহনে অবকাঠামো উন্নয়ন, জনগণের সুখ সমৃদ্ধি ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো।
২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এখানে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়। উন্নয়ন বঞ্চিত, সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে খ্যাত লালমোহন তজুমুদ্দিনকে আমি উন্নয়নের রোল মডেলে রুপান্তর করতে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এমপি শাওন অভিযোগ করে বলেন, এই আসনে বিএনপি জামাত জোটের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘ ২৩ বছর শাসনের নামে শোষণ করেছেন।
বিগত প্রায় দশ বছর তিনি জনবিচ্ছিন্ন। জনরোষ পড়ার ভয়ে তিনি এলাকায় আসেন না। তাছাড়া তাদের দলীয় গোলযোগ রয়েছে। অথচ ঢাকায় বসে তিনি কাল্পনিক অভিযোগ করছেন। আমরা এসব অভিযোগের নিন্দা জানাই। লিখিত বক্তব্যে এমপি শাওন বলেন, ওই সময়ের নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী মানুষগুলো আজো মেজর হাফিজের নাম শুনলে আতংকে শিহরে উঠে।
কারণ উনার ক্ষমতার আমলে উনার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোলুপ নজরে সম্ভ্রম হারিয়েছেন গর্ভবতী উজালা, শেফালি আর আট বছরের শিশু গীতা রানিসহ আরো অনেকে। উনি এলাকায় কোনো উন্নয়ন করেননি। তবে সন্ত্রাসের উন্নয়ন করেছেন। মেজর হাফিজের পালিত মৌমাছি, মশামাছি,বীরবিক্রম, মার্শাল প্রভৃতি নামে কুখ্যাত বাহিনীর সহিংসতা ও সন্ত্রাসের উৎসবলীলায় এ জনপদ প্রকম্পিত ছিল। মেজর হাফিজের সন্ত্রাসী তান্ডবে কালমার আওয়ামী লীগের কর্মী খোরশেম, মোতালেব নিহত হন বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমপি শাওন।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, তজুমুদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক দেওয়ান, লালমোহন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফখরুল আলম হাওলাদার, লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বজলু রহমান প্রফেসর, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি দিদারুল ইসলাম অরুন, পৌর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি সফিকুল ইসলাম বাদল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা খানম, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মিয়া, হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু, আক্তার হোসেন হাওলাদারসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এমপি শাওন বলেন, মেজর হাফিজ এলাকার ছেলেদের হাতে অস্ত্র দিয়েছেন। বেকারদের জন্য কিছু করেননি। উনি ঢাকায় বসে বলছেন, উনার বাড়িতে হামলা ভাংচুর করা হয়েছে। আপনারা এখন তার বাড়িতে গেলে দেখবেন সুন্দর রং করা চমৎকার বাড়ি। আমি এলাকায় শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। উন্নয়ন করেছি। বেকারদের চাকরি দিয়েছি। লালমোহন এখন শান্তির জনপদ। উনি এলাকায় আসলে কেউ বাধা দিলে তখন বলতে পারতেন। এলাকায় না এসে মিথ্যা বলছেন। আমরা মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
Leave a Reply