মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের নয় নাম্বার ওয়ার্ড থেকে এক শারিরীক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের ফলে অন্ত:সত্ত্বা করে গর্ভপাত করার অভিযোগে দুই ধর্ষক আবু তাহের ও শাফিজল গনিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। একই সাথে ঘটনা ফাঁস হবার পর সালিশ বৈঠকে ২ লাখ টাকায় দফারফা করার অভিযোগে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য(মেম্বার) শাহাজল হক মাঝিকেও আটক করা হয়েছে। বুধবার বিকালে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করে। ওই তিন ব্যক্তির বাড়ি একই এলাকায়।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যাক্তা দুই সন্তানের জননী এক প্রতিবন্ধী নারীকে সাচড়া ইউনিয়নের নয় নাম্বার ওয়ার্ডের আবু তাহের ও শাফিজল গনি দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। এক সময় ওই নারী ৭-৮ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ার পর গত শনিবার শাফিজল গনি ও আবু তাহের ওই নারীকে স্থানীয় অনি নামের এক মহিলার দ্বারা গর্ভপাত করিয়ে বাচ্চা খালে ফেলে দেয়। ঔষধ খাবার পর জন্য ওই নারীকে ২ ধর্ষক ২ হাজার করে ৪ হাজার টাকা দেন জানা যায়। স্থানীয় ইউনুস মাস্টার খালে ভেসে আসা বাচ্চার লাশ দেখে দালাল বাড়ি ব্রীজের নীচে মাটিচাপা দেন।
ওই ঘটনা জানাজানি হবার পর ২ ধর্ষক স্থানীয় মেম্বার শাহাজল হক মাঝির শরনাপন্ন হন। শাহাজল মাঝি ওই ওয়ার্ডের লিটন মৃধার বাড়িতে বুধবার সকাল থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সালিশ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মেম্বার ২ ধর্ষক মাথাপিছু ১ লাখ টাকা করে ২ লাখ টাকা প্রতিবন্ধী নারীকে দেয়ার রায় দেন। ওই টাকা প্রতিবন্ধী নারীকে দিলে কোন অভিযোগ করবেনা বলে দফারফা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ওই ঘটনা জেনে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাচ্চার লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ওই ওয়ার্ড থেকে ধর্ষক আবু তাহের ও শাফিজল গনি ও সালিশকারী শাহাজল হক মাঝিকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি ম. এনামুল হক জানান(রাত পৌনে নয়টা), মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply