ভোলায় চলছে ইলিশ শিকারের উৎসব Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




ভোলায় চলছে ইলিশ শিকারের উৎসব

ভোলায় চলছে ইলিশ শিকারের উৎসব




ভোলা প্রতিনিধি:জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এখনও নদীতে মাছ ধরছে জেলেরা। এতে ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের অভিযান ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জেলেরা বলছেন, পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই মাছ ধরছে যাচ্ছেন তারা। টানা দুই মাস সরকারি নিষেধাজ্ঞায় সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকার কথা থাকলেও শনিবার দুপুরে সরেজমিনে ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন মাছঘাট ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। মেঘনা-তেতুলিয়ায় জেলেদের মাছ ধরা থেমে নেই। জাল ফেললেই ধরা পড়ছে চকচকে রূপালী ইলিশসহ অন্যান্য মাছ। আর নির্দিষ্ট কিছু অসাধু আড়তদার ও ব্যবসায়ী এসব মাছ কিনে বাজারে বিক্রি করছেন।

ভোলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে তুলাতলী মাছঘাট। নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও সেখানে প্রকাশ্যে হাক-ঢাক দিয়ে চলছে মাছ বেঁচা কেনা। একটু পর পর নদী থেকে জেলেরা মাছ নিয়ে হাজির হচ্ছে বিক্রির জন্য। নদীর এক পাশে আড়ালে ঝুড়িতে এসব মাছ সাজানো হচ্ছে বরফ দিয়ে। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে কিছুটা বিব্রত হন তারা। তবে মাছ কেনা-বেচার কথা স্বীকার করে আড়ৎদার সগির আহাম্মেদ ও রিপন হাওলাদার বলেন ভিন্ন কথা।

তারা বলেন, জেলেরা পেটের দায়ে নদীতে ইলিশ না ধরে পোয়া মাছসহ অন্যান্য মাছ শিকার করছে। আর তারাও ইলিশ না কিনে অন্যান্য মাছ কিনছেন। নাছির মাঝির জেলে সোহরাব সর্দার ও লেকু মাঝি জানান, একমাত্র আয়ের উৎস্য বন্ধ হয়ে যাওয়া বাধ্য হয়ে তারা নদীতে মাছ শিকাওে নামছেন। এছাড়া এক এক নৌকায় সাত থেকে দশ জন জেলে থাকলেও জেলে কার্ড পাচ্ছেন মাত্র ২ থেকে ৪ জন। ফলে পেটের তাগিদে মাছ ধরতে হচ্ছে। মাঝের চরের জেলে কামাল হোসেন ও বেলাল জানান, জেলে কার্ড থাকার পরেও সময়মতো সরকারি জেলে পুনর্বাসনের চাল না পাওয়ায় পেটের দায়ে নদী নামতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

তাই যত তাড়াতাড়ি জেলে পুনর্বাসনে চাল জেলেদের হাতে পৌছবে তত তাড়াতাড়ি আইন অমান্যকারী জেলের সংখ্যা কমে যাবে। তবে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞা অমাধ্য করায় ইতিমধ্যে শতাধিক জেলেকে জেল জরিমানা করা হয়েছে।

এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া জেলেদের প্রাপ্য চাল দ্রুত বিতরণ করার জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD