মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি॥ প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার শত শত বসত বাড়ি ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। নদী ভাঙ্গন রোধে স্বল্প খরচে অল্প সময়ে বাঁশের বেড়া প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। এতে পরিবর্তন হওয়ার কথা নদীর গতিপথ, কমবে ভাঙ্গন, বাড়বে ফসলী জমি। সরকারের এমন উদ্যোগে খুশি নদী পারের হাজার হাজার পরিবার। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ না করার কারণে নদীর তীব্র ¯্রােতে বাঁশের বেড়া ভেসে গেছে।
বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৯টি পয়েন্টে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। এতে শত শত বসতবাড়ি ও হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। সবচেয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়ন, কেদারপুর ও রহমতপুর ইউনিয়ন। দেহেরগতি ইউনিয়ন ও রহমতপুর ইউনিয়ন ভাঙ্গনরোধে স্বল্প খরচে বাঁশের বেড়া দ্বারা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে করে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে ভাঙ্গনের ভয় দূর হয়।
সরেজমিনে উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব রাকুদিয়া সুগন্ধা নদীর তীরে (বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সেতু ) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নদীতে বাঁশের বেড়া দেওয়া হলেও কাঠের বল্লি দেওয়া হয়নি। নদীর পানি কমে ও তীব্র ¯্রােতে বাঁশের বেড়া নদীতে ভেসে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরই বন্যার সময় এই এলাকার প্রচুর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়। এই প্রকল্পটি সঠিকভাবে এবং দ্রুত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় আমাদের কোনো উপকারেই আসে নি। বরং সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কাঠের বল্লি না দেওয়ার কারণে বাঁধটি মজবুত হয়নি। বাঁশের বেড়া পানির ¯্রােতে ভেসে গেছে। বিষয়টি নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটকে অবগত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নদী গবেষণা ইনিস্টিটিউট এর এক সুত্রে জানা গেছে , সারাদেশে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায়ই এমন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল । এতে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে ও ভাঙ্গন কমবে। সেই সাথে বাঁধের অপর পাড়ে পলি ও বালিমাটি পড়ে বাড়বে ফসলী জমি । কাজটির পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্ববধায়নে দেখভাল করছে নদী গবেষণা ইনিস্টিটিউট।
Leave a Reply