রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ অপরাহ্ন
ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় স্ত্রীর পরকীয়া হাতেনাতে ধরা পড়ায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। এ ঘটনায় স্ত্রী সোনিয়া ও তার প্রেমিক রাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃত ২৭ বছর বয়সী বেল্লাল সরদার উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভিটাবাড়িয়া গ্রামের জলিল সরদারের ছেলে। আটক সোনিয়া ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরের বাসিন্দা মো. জামালের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে। আর রাজু সোনিয়ার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর ছেলে।
জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর আগে বেল্লালের সঙ্গে সোনিয়ার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে মো. ঈসা নামের ৯ বছরের ছেলে রয়েছে। বেল্লাল ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতেন।
নিহত বেল্লালের চাচি রানী বেগম জানান, সৎ বোন সোনিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসেন রাজু। একপর্যায়ে বোনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরের ভুবনেশ্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন বেল্লাল। প্রায় দেড় বছর থেকে আর্থিক সংকটে পড়ে পুনরায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন।
সৎ ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর প্রেমের কথা এলাকাবাসীর মুখে শোনা ছাড়াও ধরা পড়েন নিজের হাতে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী তুমুল ঝগড়া হয়। ক্ষোভে ঘৃণায় ৫ অক্টোবর দুপুরে বিষপান করেন বেল্লাল। পরে তাকে জ্বর, পাতলা পায়খানার রোগী বলে অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে বেল্লালকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় পুত্রবধূ সোনিয়া, তার সৎ ভাই রাজু ও শ্বশুর জামালের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা করেন নিহত বেল্লালের বাবা মো. জলিল সরদার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাণ্ডারিয়া থানার এএসআই মো. বজলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এ মামলার আসামি বেল্লালের স্ত্রী সোনিয়া বেগম ও তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর ছেলে রাজুকে গ্রেফতার করে শুক্রবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply