শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ নদীতে ডুবে যাচ্ছে। এমন মুহূর্তেও সন্তানকে ভুলে যাননি মা। সঙ্গে থাকা আট বছরের ছেলেকে শাড়ির আঁচলে বেঁধে নেন। ভেবেছিলেন নিজে মরলেও সন্তান বেঁচে যাবে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, মা-ছেলে দুইজনই ডুবে গেলেন। বলছিলাম বুড়িগঙ্গা নদীতে মর্নিং বার্ড লঞ্চডুবির ঘটনার কথা।
সোমবার সকালে রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ওই লঞ্চটি ডুবে যায়। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্ট গার্ড। এর মধ্যে আঁচলে পেঁচানো সন্তানসহ সেই মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই মায়ের নাম হাসিনা বেগম। আর সন্তানের নাম সিফাত। হাসিনা মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী। লঞ্চডুবিতে আব্দুর রহমানও নিখোঁজ হন। তার মরদেহ এখনো পাওয়া যায়নি।
আব্দুর রহমান ঢাকার জজ কোর্টে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকলেও করোনার কারণে কয়েক মাস ধরে গ্রামে ছিলেন। সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম থেকে মর্নিং বার্ড লঞ্চে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ নামে আরেকটি লঞ্চের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে তাদের লঞ্চটি ডুবে যায়। সোমবার দুপুরে স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আইনজীবী আব্দুর রহমান।
হাসিনা বেগমের ভাই রবিন জানান, তার বোনের শাড়ির আঁচলে পেটের সঙ্গে বাঁধা ছিল ভাগনে সিফাত। বিপদ বুঝে হয়তো ভাগনেকে আগেই আঁচলে বেঁধেছেন। কিন্তু মা-ছেলে দুইজনই মারা গেলেন।
Leave a Reply