বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা এবং তার ভাইদের নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘একটাই প্রশ্ন সব সময়-আসলে কেন এই হত্যাকাণ্ড, আমার বাবা, মা এবং ভাইদের অপরাধ কি ছিল?’ প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং আমার ভাইয়েরা নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন, জীবনের সুখ, শান্তি একটা জাতির স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বিলিয়ে দিলেন, কিন্তু সেই বাঙালিই তাদের হত্যা করলো?
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার বড় কন্যা হাসিনা বলেন, ‘ধৈর্য, সাহস এবং সঠিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং সেগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে বঙ্গমাতা অনেক অবদান রেখেছেনন। আমার মা প্রতিটি আন্দোলনে অনেক অবদান রেখেছেন।’
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে সারাজীবন উৎসাহ দিয়েছেন যাতে তিনি দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা সবসময় বিশ্বাস করতেন যে প্রত্যেক নারীর শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা উচিত। তার উপলব্ধি ছিল যে শুধু অধিকারের জন্য চিৎকার করলে নারীদের জন্য কিছু আসবে না। অধিকার অর্জনের জন্য সকল নারীর উচিত শিক্ষা গ্রহণ করা এবং নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ তৈরি করার জন্য তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা এবং চাহিদা উপেক্ষা করেছেন। বঙ্গমাতার কোনো ব্যক্তিগত চাহিদা ছিল না এবং পারিবারিক বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে কখনো বিরক্ত করেনি।
দেশের স্বাধীনতায় বঙ্গমাতার ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গমাতা রাজনীতিতে বিভিন্ন সংকটময় সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর একটি ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।
Leave a Reply