বাতিলের পথে ভারতীয় বিদ্যুৎ করিডোর, অগ্রাধিকার পরিবেশ Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বাতিলের পথে ভারতীয় বিদ্যুৎ করিডোর, অগ্রাধিকার পরিবেশ

বাতিলের পথে ভারতীয় বিদ্যুৎ করিডোর, অগ্রাধিকার পরিবেশ




ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রস্তাবিত ১১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ করিডোর প্রকল্প বাতিলের পথে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রকল্পটি ২০২৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা থাকলেও সম্প্রতি গ্রিড নিরাপত্তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আর্থিক দিক বিবেচনায় এটি পুনর্মূল্যায়ন করছে সরকার। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এবং বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন স্তরের বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পটি নিয়ে বেশ কয়েকটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রকল্পের মাধ্যমে পার্বতীপুর থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বোরানগর এবং বিহারের কাটিহার পর্যন্ত ৭৬৫ কেভি ক্ষমতার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশকে অতিরিক্ত এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রস্তাব দেয়। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৮ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি, যেখানে সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াট। অতিরিক্ত এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য এমন একটি প্রকল্পে অর্থনৈতিক ঝুঁকি গ্রহণ করাকে অযৌক্তিক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরেকটি বড় উদ্বেগের বিষয় হলো দুই দেশের গ্রিড সংযোগের পারস্পরিক প্রভাব। কোনো একটি দেশে ব্ল্যাকআউট হলে অপর দেশেও তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকায় জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রকৌশলীরা।

এছাড়া প্রকল্পটি পরিবেশগতভাবেও নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর ভারতীয় অংশে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহের পরিকল্পনার কারণে নদীর পানিপ্রবাহ হ্রাস, নদীভাঙন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি ও কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, মাত্র এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য এতবড় প্রকৃতি ও অর্থনীতিনির্ভর ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয়।

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে কোনো আপস নয়। করিডোর প্রকল্প অনুমোদনের আগে নিরাপত্তা ও পরিবেশগত প্রভাবের পূর্ণ বিশ্লেষণ প্রয়োজন।

এদিকে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ করিডোর বাতিল হলেও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রমে এর প্রভাব পড়বে না। কারণ নেপালের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তিতে ভারতের করিডোর ব্যবহারের শর্ত নেই। ফলে বাংলাদেশ এখন জাতীয় স্বার্থে ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, যা ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই জ্বালানীনীতির দিকনির্দেশনা দেবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD