বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল সদর উপজেলা চত্বরে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার আদ্যোপান্ত তদন্তের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
রোববার দুপুর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বরিশালের বিষয়টা একান্ত স্থানীয়। সেখানে তড়িৎ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কি ঘটনা ঘটেছিল। তার আগে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘আওয়ামী লীগের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে’ এমন মন্তব্যেরও জবাব দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। জনগণের সমর্থন নিয়ে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছেন। এর পরের নির্বাচনগুলোতেও বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল এবং কি ফলাফল হয়েছে সেটি আপনারা জানেন এবং দেখছেন, বিএনপি প্রধান বিরোধী দলের আসনেও বসতে পারে নাই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে পায়ের তলার মাটি সরে গেছে বিধায়ই বিএনপির ফখরুল সাহেবের কথাবার্তা খালি কলসি বাজে বেশির মতো। কথা বলার মধ্যেই তাদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।’
‘সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিএনপি’র বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে’ বিএনপি’র এ মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা কখনো লেলিয়ে দেইনি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপির কারো ব্যক্তিগত অপরাধ বা ব্যক্তিগত নৈতিক স্খলনের কারণে বা ফৌজদারি অপরাধের কারণে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, বিএনপি সেটিকেও রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে, যা কখনও সমীচীন নয়।’
পরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বিএনপির উন্মেষ হত্যার মধ্য দিয়ে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের উত্থান হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতি আগে বন্ধ করতে হবে।’
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যার প্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করতে হবে।’
জামাল বাহিনীর প্রধান জামাল আহম্মদের মৃত্যুতে শোক। চট্টগ্রামে বৃহত্তর বাকলিয়ার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জামাল বাহিনীর কমান্ডার জামাল আহম্মদ ওরফে ফকির জামালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন হাছান মাহমুদ। রোববার চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জামাল আহম্মদ ওরফে ফকির জামাল।
মন্ত্রী তার শোকবার্তায় বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল আহম্মদ স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটি সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর তিনি চট্টগ্রামে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আজীবন ধারণকারী জামাল আহম্মদ এলাকাবাসীর সেবায় আত্মনিয়োগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।
Leave a Reply