বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালে বইছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরেই শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকলে শুক্র ও শনিবার মৌসুমে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা বইছে। এমন পরিস্থিতিতে বরিশালে মাছের বাজারে ইলিশের আকাল দেখা যাচ্ছে। বাজারে তেমন মাছ নেই। যাও পাওয়া যাচ্ছে তার দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। জেলেরা বলছে, শীতের কারণে নদী ও সাগরে ইলিশ না থাকায় এ অবস্থা। তবে শীত কমলে নদী-সাগরে ইলিশ ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গত দুই দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেশি। বরিশালে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭। এর আগের দিন শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার বেলা ৩টার দিকে বরিশালের আকাশে সূর্যের দেখা মেলে। ঠান্ডা বাতাসে হাজার হাজার জেলে পড়েছেন বিপাকে। তীব্র ঠান্ডা বাতাসের কারণে জেলেরা নদী-সাগরে মাছ ধরতে পারছেন না।
বরিশাল নগরীর বৃহৎ মৎস্য আড়ত পোর্টরোড বাজারে প্রতিদিন সকালে শত শত মণ ইলিশ বিক্রি হয়। কিন্তু কয়েক দিন ধরে ইলিশ মাছ আসে না বলে জানিয়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। জেলেরা বলছেন, শীত বেশি থাকায় নদীতে এখন ইলিশ মাছ নেই। তাই জেলেদের জালে ধরা পড়ে না। শীত কমে গেলে ইলিশ ধরা পড়বে।
পোর্টরোড আড়তে মাছ বিক্রি করতে আসা জেলে ইব্রাহিম জানান, গত কয়েকদিন ধরেই শীতের তীব্রতা এত বেশি যে কারণে জেলেরা ঘাটে ফিরে আসছে। তাছাড়া শীতের কারণে নদীতে তেমন একটা ইলিশও পাওয়া যাচ্ছেনা।
পোর্ট রোড বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, জেলেদের জালে ইলিশ মাছ ধরা পড়ে না। তাই বাজারে ইলিশ মাছ নেই বললেই চলে। যাও আসে তার পরিমাণ চাহিদার তুলনায় খুবই কম। যা আসে বড় সাইজের চেয়ে জাটকা বেশি। তিনি জানান, শুক্রবার পোর্ট রোডে মাত্র ৩০/৪০ মণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে। বাজারের ছোট-বড় মিলিয়ে ১৬০টি আড়তের মধ্যে কয়েকটি আড়তে সেই মাছ বিক্রি হয়েছে। যার কারণে দামও একটু বেশি।
রহিম নামের আরেক ব্যবসায়ী জানান, শুক্রবার পোর্ট রোডে এক কেজি সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। এক কেজির নিচে, যা এলসি হিসেবে পরিচিত। সেই সাইজের মাছ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৭০০-১৮০০ টাকা দরে। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি ১২০০-১৩০০ টাকা দরে।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, নদীতে ইলিশ মাছ আছে। বড় সাইজের মাছ না থাকলেও প্রচুর জাটকা রয়েছে। জাটকা শিকার নিষিদ্ধ। তাই বেশি মাছ বাজারে আসে না।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, শীতের এমন অবস্থা সামনে আরও দুদিন চলতে পারে।
Leave a Reply