সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : বরিশালে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাচেষ্টার মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করার অভিযোগ উঠেছে কাউনিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মামলা দায়েরের পর অন্তত তিনটি সপ্তাহ কেটে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার দেখাতে পারেনি। এমনকি আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদের গ্রেফতারেরও কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বরং আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ করলেন হামলার শিকার বরিশাল শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ। তবে কাউনিয়া পুলিশ বলছে- আসামিরা সকলে পলাতক রয়েছে। যে কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা আব্দুল আজিজকে শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিউভাটিখানা এলাকায় কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এমসয় তার কাছ থেকে নগদ ৫৪ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইনও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সেই ঘটনায় তার বড় বোন শাহিনুর বেগম লিপি বাদী হয়ে তিনজন নামধারীসহ অজ্ঞাত আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে একদিন পরে অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলাটি তদন্ত করছেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিহাদ। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তিনি কোন আসামিকে গ্রেপ্তারের খবর দিতে পারেননি।
এই মামলার বাদী শাহিনুর বেগম লিপি অভিযোগ করেন- প্রধান আসামী সুমন কশাই (২৬) ও ড্যানি কশাই শহরের আমানতগঞ্জ এলাকার প্রভাবশালী জিয়াউল হক চিশতি নাদেরের ছেলে। এমনকি মামলার ৩ নম্বর আসামি শিপনও প্রভাবশালী আব্দুস সাত্তারের ছেলে। যে কারণে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো আপোষরফা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমন বাস্তবতায় আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে মামলা তুলে নিয়ে তাদের স্বজনদের হুমকি দিচ্ছে।
পুলিশের এমন ভুমিকা তাদের হতাশ করেছে জানিয়েছে শাহিনুর বেগম আরও অভিযোগ করেন- আসামিরা প্রতিনিয়ত শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বৌ বাজার পোলের ওপরে আড্ডা দিচ্ছে। যেই বিষয়টি এলাকার অধিকাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ করছে। কিন্তু এই বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হলে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে। বরং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলছেন উপরের নির্দেশ রয়েছে গ্রেপ্তার করা যাবে না (!)
ফলে আসামিদের সাথে পুলিশ রফাদায় গেছে কী প্রশ্ন তুলেছেন বাদী শাহিনুর বেগম। এমন পরিস্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা পুরো বিষয়টিকে পুলিশের উচ্চমহলে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিহাদ বলছেন- সকল আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছেন। কিন্তু ঘটনার দিন থেকে সকলে পলাতক রয়েছেন। যে কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
Leave a Reply