মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি॥ বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন আগৈলঝাড়ায় সরকারী খালে বাঁধ দিয়ে বাড়ি তৈরী করার জন্য মাটি ভরাট করার অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে কৃষক সদস্যরা লিখিত অভিযোগ দায়ের। ওই খালে বাঁধ নির্মান করা হলে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে সেচ মৌসুম ইরি ব্লক করতে ব্যর্থ হবে চাষিরা। অপরদিকে মহাসড়কের ফুল্লশ্রী বাইপাসের জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মান করছেন কাঠালবাড়ি এলাকার জনৈক বাদল। ইউএনও সার্ভেয়ার পাঠিয়ে খালে বাঁধ দেয়ার কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে খাল দখলের মাধ্যমে মাটি ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় পরিতোষ দত্ত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী রওশন ইসলামের কাছে দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী বাইপাস চৌরাস্তা এলাকার পূর্ব পাশে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহনকৃত গৌরনদী-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন উত্তর পাশে বাড়ি করার জন্য সরকারী খালে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য পাইলিং বসিয়েছে ওই গ্রামের ভুবন মোহন দত্তর ছেলে পরিতোষ দত্ত। বাড়ি করার জন্য কয়েকদনি যাবত পরিতোষ দত্ত স্থানীয় চাষীদের বাধা উপেক্ষা করে খালে পাইলিং করেন এবং মাটি কাটার কাজ শুরু করেন।
স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করে খালে পাইলিং দিয়ে স্থায়ীভাবে বাঁধ দেয়ার কারনে ইরি ব্লক চাষীদের পক্ষে স্থানীয় চাষী গৌরাঙ্গ দাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী রওশন ইসলামের কাছে খালে বাঁধ নির্মান বন্ধের আবেদন করেন। চাষীদের আবেদনের পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মাসুদুর রহমান মাসুদকে পাঠিয়ে বাঁধের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।
সার্ভেয়ার মাসুদুর রহমান মাসুদ জানান, ইউএনও স্যারের নির্দেশ পেয়ে তিনি মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিতোষ দত্তকে বাঁধ নির্মান করতে নিষেধ করেন। বিষয়টি তিনি নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করে ছুটিতে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী রওশন ইসলামকে একাধিককবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত পরিতোষ দত্ত বলেন, সার্ভেয়ার বাঁধা দেয়ার পরে তিনি শ্রমিক উঠিয়ে দিয়েছেন। এর পরে তিনি আর বাঁধের জন্য কোন কাজ করেননি।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মান ও খালে বাঁধ দেয়ার খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় পরিতোষ দত্তকে সরকারী খালেরর জায়গায় বাঁধের জন্য দেয়া পাইলিং বৃহস্পতিবারের মধ্যে অপসারনের জন্য বলেছেন। পাইলিং অপসারন না করা নাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি। অন্যদিকে পাকা ভবন নির্মানকারী মালিককে পাওয়া যায়নি, তবে নির্মান শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সার্ভেয়ার পাঠিয়ে জায়গা মেপে সরকারী জায়গার মধ্যে ভবন পড়লে তা ভেঙ্গে দেয়া হবে।
Leave a Reply