মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানাধীন মিয়ার হাটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোতাহার হাওলাদার হত্যায় পাল্টি-পাল্টি মামলায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
একই মামলায় অপর এক আসামিকে ৩ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া আসামিপক্ষের মামলায় ২ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার বেলা ১১টায় ২য় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাহবুবুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাবুল সিকদার ও তার ভাই জাহাঙ্গীর সিকদার। জাহাঙ্গীর কারাগারে এবং বাবুল পলাতক। ৩ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হচ্ছেন মামুন চৌকিদার। অপর মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন মোতালেব হাওলাদার ও সিরাজ হাওলাদার।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান জানান, ২০০১ সালের ২৭ মার্চ মেহেন্দীগঞ্জের মিয়ার হাটে ডাল বিক্রি করতে যান নিহত মোতাহার। ডাল বিক্রি নিয়ে প্রতিপক্ষ বাবুল সিকদারের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে বাবুলের নেতৃত্ব আসামিরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মোতাহারের ওপর চড়াও হয়। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে মোতাহার এবং তার সহোদর মোজাহার ও মন্টু গুরুতর আহত হয়। একই সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের বাবুল সিকদার ও জহির সিকদার আহত হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় মোতাহারকে উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় পরদিন মোতাহারের ভাই আজাহার হাওলাদার বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে বাবুল ও জহির আহত হওয়ার ঘটনায় বাবুলের মা জয়নববিবি বাদী হয়ে নিহতের পক্ষের ৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মোতাহার হত্যা মামলায় মেহেন্দিগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মো. শাহজাহান ২০০১ সালে ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০০৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ওই মামলার ৮ আসামির নাম প্রত্যাহার করা হয়। ১৯ বছর বিচার চলাকালে এই মামলার ৪ আসামির মৃত্যু হয়।
পাল্টাপাল্টি মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যা মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীনসহ ৩ জনকে কারাদণ্ড এবং ৩ আসামিকে খালাস দেয়া হয়। আসামিপক্ষের মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড, ৫ জনকে খালাস দেয়া হয়।
Leave a Reply