বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
এইচ এম হেলাল ॥ বরিশালে নগর আওয়ামীলীগের এক নেতাকে মারধরের ঘটনায় মামলা না নেয়ায় থানা ঘেরাও করেছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এঘটনায় বিসিক শিল্প নগরীর ফরচুন সু কোম্পানীর মালিক মিজানসহ তিনজনকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং ১২। মামলা গ্রহণ করার পরপরই নেতাকর্মীরা থানা কম্পাউন্ড ত্যাগ করে। এদিকে এ ঘটনায় রুপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা আটকে বিােভ করে শ্রমিকলীগ নেতাকর্মীরা। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদ রানা। অপরদিকে মামলা গ্রহণ ও মহাসড়ক অবরোধ অবরোধ করার খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে মামলার বিবাদী ফরচুন সু কোম্পানীর মালিক মিজান দ্রুত গাড়িযোগে বিসিক এলাকা ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, বরিশাল বিসিক এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা সোহাগকে মারধরের ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ এবং অভিযুক্তকে আটক না করার কারনে সন্ধ্যার পর থেকে বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানা এলাকায় জড়ো হতে থাকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে কাউনিয়া থানাকে ঘেরাও করে রাখে। বরিশালের এক ছাত্রলীগ নেতা সোস্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে থানা ঘেরাওয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্ড আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ দীর্ঘদিন যাবত ইট, বালু, রড সিমেন্টের ব্যবসা করে। ইতিপূর্বে ফরচুন সু কোম্পানীর মালিক মিজানকে বাকিতে রড সিমেন্ট ও বালু বিক্রি করে। কিন্তু একাধিকবার পাওনা টাকা চাইলেও তা পরিশোধ করেনি মিজান। উল্টো সোহাগকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখায়।
গতকাল সকাল সাড়ে দশটার দিকে ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা সোহাগ বাসায় যাওয়ার পথিমধ্যে বিবাদী মিজান তার পথরোধ করে এবং তার ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র বের করে খুনের হুমকি দেয়। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মিজান ও তার দুই সহযোগী সন্ত্রাসী শফিক ও রবিউল দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতারি মারধর করে।
সোহাগের ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় মিজান। পরে আহত সোহাগকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় সোহাগের পরিবার কাউনিয়া থানায় মামলা দিতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নিতে অনিহা প্রকাশ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সন্ধ্যার পর নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের আ’লীগ নেতাকর্মীরা থানা কম্পাউন্ডে জড়ো হয় এবং মামলা গ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
অপরদিকে এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ করার দাবীতে নগরীর রুপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সড়ক অবরোধ করে বিােভ করে শ্রমিকরা। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। এর পরপরই নেতাকর্মীরা থানা কম্পাউন্ড ত্যাগ করে। আহত আ’লীগ নেতা সোহাগ বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় ফরচুন সু কোম্পানীর মালিক মিজান ও তার দুই সহযোগি শফিক ও রবিউলকে আসামী করা হয়েছে। অপরদিকে থানায় মামলা গ্রহণ এবং মহাসড়ক অবরোধ করার প্রেেিত বিবাদী মিজান গ্রেফতার হতে পারেন এমন আতংকে বিসিক শিল্প নগরী থেকে দ্রুত পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, যাওয়ার সময় তার আগে পেছনে কোন মটরসাইকেল বহর দেখা যায়নি। উল্লেখ্য ফরচুন সু’র মালিক মিজান সব সময় মটর সাইকেল বহর নিয়ে মন্ত্রী এমপিদের মতো চলাফেরা করতেন বলে জানা যায়।
Leave a Reply