বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৭ অপরাহ্ন
এইচ.এম হেলাল ॥ বরিশাল সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের (ইএফটি) (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্যান্সফার) তহবিল হস্তান্তরের ফরম অনলাইনে পূরণ করে দেয়ার নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা (ইএফটির) মাধ্যমে দেয়ার জন্য গত ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে এক আদেশ করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৮শত শিক্ষকের ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের (বেতন) তহবিল হস্তান্তরের জন্য (ইএফটির) ফরম পূরণের অনলাইন কার্যক্রম শুরু করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
সব শিক্ষকদের ফরম অনলাইনে পূরণ করে দেয়ার জন্য দায়িত্ব পান ভাটিখান সরকারি প্রাথামক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ তারিকুল ইসলাম পলিন্স,দূর্গাপুর ( ২ ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান,হবিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুন্নবী ও কিশোর মজলিস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাসুমা । এ সুযোগে সংশ্লিষ্টরা তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ করে অনলাইন কার্যক্রম আরম্ভ করেন। আর এতে অফিস খরচ বাবদ প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে ৩শত থেকে ৪শত টাকা আদায় শুরু করেন।
উপজেলার কয়েক জন শিক্ষক জানান, অনলাইনে (ইএফটির) ফরম পূরণের ক্ষেত্রে কোন প্রকার টাকা পয়সা গ্রহণ করা যাবে না মর্মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ থাকলেও তা উপেক্ষা করে বরিশাল সাবেক উপজেলা শিক্ষা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। নাম বলতে অনিচ্ছুক
একাধীক শিক্ষশ জানান, অনলাইনে একটি ফরম পূরণে সর্বোচ্চ-৫০/৬০ টাকার বেশি খরচ লাগার কথা নয়। অথচ জনপ্রতি ৫শ’ টাকা ধার্য করা হয়েছে। যা আমরা স্ব-স্ব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে জমা করে যাচ্ছি। কিন্তু ভুল-ক্রুটির অজুহাত দেখিয়ে পুনরায় সাবেক ওই শিক্ষা কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে এক হাজার টাকা করে আদায় আরাম্ভ করে একটি চক্র। এমনকি টাকা ছাড়া সাধারণ শিক্ষকদের কোন কথা শিক্ষা অফিস সংশ্লিষ্টরা যেন শুনতেই চান না । এ ধরনের নানা হয়রানির হাত থেকে আামরা মুক্তি পেতে চাই ।
সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন , এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। দূর্গাপুর ( ২ ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু শিক্ষক আছে তারা এগুলা রটায়। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন , সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম স্যার সব কিছু জানেন তিনি এই সকল কাজ করিয়েছেন। কিশোর মজলিস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাসুমার কাছে বিষটি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না , তাছাড়া আপনি কেনো আমাকে ফোন দিছেন, নাম্বার পেলেন কোথায়?।
এ বিষয় বিভাগীয় উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষকরা টাকা দিবে কেন? ফরম পূরণে তো টাকা দরকার হয় না। যেহেতু আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সব চেয়ে ভালো হয় কোনো শিক্ষক আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে, সেই শিক্ষকের নাম আমি গোপন রেখে দোবো।
Leave a Reply