সিটি নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ উপলক্ষে ওই তিন সিটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খসড়া পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কমিশন।পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজশাহীতে ১৫ প্লাটুন, বরিশালে ১৫ প্লাটুন, সিলেটে ১৪ প্লাটুন, মোট ৪৪ প্লাটুন বিজিবি নিয়োগ করা হবে। বৃহস্পতিবার ইসি কার্যযালয়ে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজি, বিজিবি, আনসার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেবেন। নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও তিন সিটির রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের অভিমত নিয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ছক চূড়ান্ত করবে ইসি।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, ভোটের আগের দুই দিন থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
ওই তিন সিটিতে দলীয় প্রতীকে প্রথম সিটি ভোট হওয়ায় এখানে বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বেশি হারে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় বলা হয়, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা যেতে পারে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের টিম এবং বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হবে। রাজশাহীতে ১৫ প্লাটুন, বরিশালে ১৫ প্লাটুন, সিলেটে ১৪ প্লাটুন বিজিবি নিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে ইসি।
মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের দুই দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে একদিন মিলিয়ে চার দিন মাঠে থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব-পুলিশের টিম ও কয়েক প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রাখার সুপারিশও করেছে ইসি সচিবালয়। এছাড়া প্রচারণার সময় প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামার পর তাদের নেতৃত্বে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করবে ইসি। ইসি কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর টার্গেট থাকবে যেকোনও মূল্যে জয়লাভ করা। এতে করে বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে এ তিন সিটির নির্বাচনে। এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলাসহ সব ক্ষেত্রে নতুন ছক করছে ইসি। রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলরদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২৮ জুন। রিটার্নিং অফিসার ১ থেকে ২ জুলাই মনোনয়নপত্র বাছাই করবেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জুলাই। মঙ্গলবার থেকে এই তিনি সিটির প্রচারণা শুরু হয়েছে। ৩০ জুলাই ভোটগ্রহণ হবে।
Leave a Reply