রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বেশভূষায় ছিমছাম। ভালো পোশাক পড়ে প্রাইভেটকারে করে ঘুরে বেড়াতেন বিভিন্ন এলাকায়। বাইরে থেকে দেখে মনে হতো ভদ্রলোক। কিন্তু তারা চোর। প্রাইভেটকারে করে করতেন ছাগল চুরি; আর পিকআপ ভ্যানে করে করতেন গরু চুরি। মূলত ঈদ-উল-আযহা এলে সক্রিয় হয়ে উঠতো দক্ষিণাঞ্চলের এই সিন্ডিকেটটি।
সম্প্রতি দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা। সেই সূত্র ধরে চুরি যাওয়া পাঁচটি গরু উদ্ধার করে পুলিশ। এসময়ে চোর সিন্ডিকেটের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা হয় চুরিকাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও পিকআপ ভ্যান।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) খাইরুল আলম।
তিনি জানান, ১৯ জুন রাতে এয়ারপোর্ট থানার উত্তর কড়াপুরের বাসিন্দা জাকির হোসেন শাকিলের গোয়ালঘর থেকে ৪ টি গরু চুরি হয়। ২৬ জুন মাধবপাশা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়ার বাসিন্দা দিলিপ কুমার মন্ডলের গোয়ালঘর থেকে ৫ টি গরু চুরি হয়।এ ঘটনায় থানায় হয়।মামলা তদন্তে নেমে পুরো সিন্ডিকেটের তথ্য পায় পুলিশ।
বুধবার (২২ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে তারা তিন চোরকে গ্রেফতার করেন।এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া ৫ টি গরু উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সুমন প্যাদা (৩৭), শাহ আলম (৩৫) এবং ইমরান হাওলাদার (২২)। এর মধ্য সুমন প্যাদা ও শাহ আলমকে বরিশাল শহর থেকে এবং ইমরান হাওলাদারকে ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার কৈখালী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চোরাই কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
খাইরুল আলম জানান, বরিশালের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে পিকআপে উঠিয়ে পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর নিয়ে বিক্রি করত।আর প্রাইভেটকারটি ছাগল চুরি ও চুরির স্থান নির্ধারনের জন্য ব্যবহার করত।চুরির সাথে জড়িত পুরো সিন্ডিকেট গ্রেফতারের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্নেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) জাকারিয়া রহমান জিকু, এয়ারপোর্ট থানার সহকারী কমিশনার নাসরিন জাহান, অফিসার ইনচার্জ এসএম জাহিদ বিন আলম।
Leave a Reply