সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিমানবন্দর থানা এলাকায় ৪৮ ঘন্টা না যেতেই ফের আরো একটি বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এসময় চোর চক্র একটি ঘরের গ্রিল ভেঙে ভেতর থেকে স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পরে যে কোন সময় ২৯নং ওয়ার্ডের শাহ পড়ান সড়কের আব্দুল্লাহ লেন এর মৃধা ভিলা-২ এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
এদিকে এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় ক্রমশই অপরাধ প্রবনতা বেড়ে চলায় উদ্ভিগ্ন হয়ে পড়েছে এলাকার বসবাসকারিরা। কেননা হত্যা, ডাকাতী এবং চুরির মত একের পর এক ঘটনা ঘটে চললেও পুলিশ তা নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না। এমনকি এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পারছে না সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
মৃধা ভবন-২ এর নিচ তলার ভাড়াটিয়া এবং ক্ষতিগ্রস্থ জসিম জানান, তিনি বাসায় ছিলেন না। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার স্ত্রী ঘর তালাবদ্ধ করে কাজে বের হয়। রাত পৌনে ৯টায় স্ত্রী ঘরে ফিরে দেখতে পান ভেতরে আলমিড়া খোলা এবং সকল মালামাল তছনছ অবস্থায় পড়ে আছে। এছাড়া ঘরের জানালার গ্রিল ভাঙা দেখতে পান।
তিনি বলেন, পরে আলমিড়া তল্লাশী করে দেখতে পান ভেতরে থাকা সাড়ে ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং একটি ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে গেছে চোর চক্র। তাৎক্ষনিক ভাবে তারা বিষয়টি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, গৃহবধূর ভাষ্য অনুযায়ী সে ৬টার দিকে ঘর থেকে বের হয় এবং পৌনে ৯টার দিকে ফিরেছে। সে অনুযায়ী ৬টার পরে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত যে কোন সময় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় অপরাধ কর্মকান্ড বেড়ে গেছে। মাত্র কদিন আগেই নথুল্লাবাদ এলাকাধিন লুৎফর রহমান সড়কে স্বাস্থ্য বিভাগের একজন নারী কর্মকর্তা নিজ ঘরে খুন হন। কিন্তু সেই ঘটনার রহস্য আদৌ উদঘাটন করতে পারেনি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
তাছাড়া মাত্র দু’দিন আগে অর্থাৎ গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কাশিপুরে একজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতী সংঘটিত হয়। এসময় ডাকাতরা বাড়ির এক ভাড়াটিয়া গৃহবধূকে এলোপাথারী কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এমনকি বাড়ির মালিক ও তার ছেলেকেও লোহার শবল দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারা। যদিও এই ঘটনাকে চুরি বলে আখ্যায়িত করেছে থানা পুলিশ। কিন্তু ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখনো গ্রেপ্তার এমনকি চিহ্নিতও করতে পারেনি। তার মধ্যেই আবার শাহপড়ান এলাকায় চুরির ঘটনা স্থানীয়দের হতবাক করেছে। তাই বিমানবন্দর থানা পুলিশের দায়িত্ব পালন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসি।
Leave a Reply